৭০ লাখ টন চাল রফতানির লক্ষ্য ভিয়েতনামের

নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষা ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাল রফতানি সাময়িক বন্ধ রেখেছিল ভিয়েতনাম। তবে চলতি বছর দেশটি থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানিতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে ভিয়েতনাম সরকার। বছর শেষে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে ৭০ লাখ টন চাল রফতানি হতে পারে—এমনটাই প্রত্যাশা করছে ভিয়েতনামের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খবর এগ্রিমানি ও রয়টার্স।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভিয়েতনামের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মাই থিয়েন দায়াং বলেন, মহামারীর কারণে মার্চে ভিয়েতনাম থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে চাল রফতানি বন্ধ ছিল। এপ্রিলে খাদ্যপণ্যটির রফতানিতে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টনের সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। মূলত অভ্যন্তরীণ খাদ্যশৃঙ্খল রক্ষা ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাময়িকভাবে এসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, মে মাস থেকে চাল রফতানি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পর বাড়তির দিকে রয়েছে খাদ্যপণ্যটির রফতানি। এ ধারা অব্যাহত রেখে চলতি বছর সব মিলিয়ে ৭০ লাখ টন চাল রফতানি করা হবে, যা আগের বছরের তুলনায় চার-পাঁচ লাখ টন বেশি।

ভিয়েতনাম বিশ্বে পঞ্চম শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী দেশ। খাদ্যপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। চলতি বছরের শুরু থেকে করোনা মহামারীর সময় জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভিয়েতনাম সরকার নতুন করে ২ লাখ ৭০ হাজার টন চাল ও ৮০ হাজার টন ধান মজুদ করেছে বলে জানান মাই থিয়েন দায়াং।

এদিকে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে) দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ২৮ লাখ ৬০ হাজার টন চাল রফতানি হয়েছে বলে জানিয়েছে ভিয়েতনামের রাজস্ব বিভাগ। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ভিয়েতনাম থেকে খাদ্যপণ্যটির রফতানি বেড়েছে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। বছর শেষেও দেশটির চাল রফতানি খাতে এ প্রবৃদ্ধি বজায় থাকার আশা করা হচ্ছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *