করোনাভাইরাসে চার মাস খেলা না থাকায় ফিটনেস ঘাটতিতে পড়েছেন ক্রীড়াবিদরা। ঘরবন্দি থাকায় হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকেই। তবে দুঃখটা একটু বেশিই দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমানের। করোনায় বাতিল হয়েছে গলফের কয়েকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। সামনেই দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানে দু’টি টুর্নামেন্ট রয়েছে। কিন্তু ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা না উঠলে ওই দেশ দু’টিতে খেলতে যেতে পারবেন না সিদ্দিক। তাই ২২ কোটি টাকা প্রাইজমানির এই দু’টি টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে বড়ই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। করোনার সময়টা কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছেন সিদ্দিকুর।
টেকনিকসহ নানান বিষয়ে কাজ করার যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন তিনি। ‘চার মাসের মতো ঘরের মধ্যে বন্দি আছি। কোর্সে যেতে পারি না বলে একটু খারাপ লাগছে। তবে সবকিছু মিলিয়ে করোনার লকডাউনটি আমি ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছি। বাসার মধ্যে ট্রেনিং করছি। টেকনিকে আমার যে দুর্বলতা ছিল সেগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট সময় পেয়েছি। সুইংয়ের অনুশীলন করছি। নিজের খেলা আগের ম্যাচগুলো দেখছি। কোথায় সমস্যা ছিল, কেন পারিনি এসব নিয়ে কাজ করেছি। ফিটনেস লেভেলটা আরো ভালো করেছি’ বলেন- দেশ সেরা এই গলফার। মার্চে করোনার কারণে খেলা বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত চারটি টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন দেশসেরা এ গলফার। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি শুরুর পর একে একে বাতিল হয়েছে অনেক টুর্নামেন্ট। করোনার কারণে ঘরের মাঠে বাতিল হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ওপেন গল্ফ। সিদ্দিকুর আশায় ছিলেন সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় তাইওয়ান মাস্টার্সে খেলবেন। কিন্তু এই টুর্নামেন্টও বাতিল হয়ে গেছে। ‘করোনায় অনেকগুলো টুর্নামেন্ট বাতিল হলেও তাইওয়ান মাস্টার্স নিয়ে আশায় ছিলাম। কিন্তু এখন এই টুর্নামেন্টটি বাতিল হয়ে যাওয়ায় আমি হতাশ,’- তিনি। তবে সেপ্টেম্বরে দু’টি বড় প্রাইজমানির টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ রয়েছে তার সামনে। ১০-১৩ই সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং ২৩-২৭শে সেপ্টেম্বর জাপানে হওয়ার কথা রয়েছে দু’টি টুর্নামেন্ট। কোরিয়ার টুর্নামেন্টর প্রাইজমানি ১১ লাখ ৮১ হাজার ডলার (প্রায় ১০ কোটি টাকা) এবং জাপানে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতার প্রাইজমানি ১৩ লাখ ৮৯ হাজার ডলার (প্রায় ১২ কোটি টাকা)। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় সব মিলিয়ে প্রায় ২২ কোটি টাকার দুই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া এখন অনিশ্চিত সিদ্দিকুরের। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসহ আমার সেখানে যাওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না করলে টুর্নামেন্ট দু’টিতে খেলা সম্ভব হবে না। কারণ করোনাভাইরাসের কারণে দেশ দু’টিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।’ তবে দ্রুত যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় দেশ দু’টি তাহলে সেখানে খেলতে যেতে প্রস্তুত এশিয়ান ট্যুরে দু’টি শিরোপা জেতা এই গলফার।