উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে পিএসজির দুর্ভাগ্য পিছু নেয়াটা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। গত দুই আসরে দলের অন্যতম ভরসা নেইমারকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে পায়নি ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। এবার অবশ্য নেইমারকে নিয়ে সংশয় নেই। তবে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে শঙ্কা। কোয়ার্টার ফাইনালে আতালান্তার বিপক্ষে ম্যাচে অনিশ্চিত বিশ্বকাপজয়ী তারকা এমবাপ্পে। শুক্রবার রাতে ফরাসি কাপের ফাইনালে সেন্ট এতিয়েনকে নেইমারের একমাত্র গোলে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করে পিএসজি। তবে আসরের ১৩তম শিরোপা জয়ের আনন্দ ম্লান হয় এমবাপ্পের ইনজুরির কারণে।
দীর্ঘ বিরতিতেও ধার কমেনি নেইমারের। তিন প্রীতি ম্যাচে চার গোল করা ব্রাজিলিয়ান তারকাকে নিয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) কোচ টমাস টুখেল বলেছিলেন, ‘ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন নেইমার।
কারণ ও সেরা ছন্দে রয়েছে।’ ফরাসি কাপের ফাইনালে পার্থক্য গড়ে দিলেন নেইমারই। টানা চারবার ফরাসি কাপ জয়ের পর গত বছরের ফাইনালে টাইব্রেকারে রেনের কাছে হেরেছিল পিএসজি। এক বছর পরই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেল দলটি।
প্যারিসের স্তাদ দি ফ্রান্স স্টেডিয়ামে বেশিরভাগ সময় জুড়ে ১০ জন নিয়ে খেলে সেন্ট এতিয়েন। চতুর্দশ মিনিটে পিএসজিকে লিড এনে দেন নেইমার। কিলিয়ান এমবাপ্পের শট গোলরক্ষক ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ। ফিরতি শটে বল জালে জড়ান নেইমার।
২৭তম মিনিটে এতিয়েন ডিফেন্ডার লোয়িচ পেরিনের বাজে ট্যাকলে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন এমবাপ্পে। ফাউলকে কেন্দ্র করে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু’দলের খেলোয়াড়রা। বেঞ্চের ফুটবলারারও যোগ দেন। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পেরিন। এই ঘটনায় হলুদ কার্ড দেখেন দু’দলের চার ফুটবলার। পুরো ম্যাচে ১০ জন। পরে আর মাঠে নামা হয়নি এমবাপ্পের। ম্যাচের শেষ দিকে ক্রাচে ভর করে চোখে জল নিয়ে ডাগআউটে আসেন ২১ বছর বয়সী এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ বলেন, ‘এমবাপ্পেকে যেভাবে ট্যাকল করা হয়েছে এটা যে কেউ দেখলে চিন্তিত হয়ে পড়বে। রেফারি এই ম্যাচে ফুটবলারদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে পিএসজিকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে এবারের ফরাসি লীগ ওয়ান বাতিল করা হয়। তবে ফরাসি কাপ ও ফরাসি লীগ কাপ বাতিল হয়নি। আগামী ৩১শে জুলাই ফরাসি লীগ কাপের ফাইনালে পিএসজির প্রতিপক্ষ অলিম্পিক লিঁও। এরপর ১২ই আগস্ট পিএসজি মাঠে নামবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ আটের ম্যাচে। ওই ম্যাচে পর্তুগালের লিসবনে মুখোমুখি হবে পিএসজি-আতালান্তা।