হূতিকের সংগ্রহের ৫ দামি গাড়ি

হূতিক রোশন বলিউডের গ্রিক গড নামে পরিচিত। চেহারা আর স্টাইলের কারণে তার আছে স্বতন্ত্র অবস্থান। দামি ও শৌখিন গাড়ি সংগ্রহের শখ আছে এ বলিউড তারকার। মাঝে মাঝেই গ্যারেজে থাকা কোনো একটি গাড়ি নিয়ে মুম্বাই দর্শনে বেরিয়ে পড়েন এ তারকা। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব নিয়ে সরব না থাকায় ভক্তদের অনেকেও জানেন না এ তারকার গাড়ির সংগ্রহ সম্পর্কে। আধুনিক দামি গাড়ির সঙ্গে হূতিকের সংগ্রহে আছে আমেরিকার আইকনিক ১৯৬৬ সালের ফোর্ড মাসটাং।

রোলস রয়েস ঘোস্ট সিরিজ টু

রোলস রয়েস হয়তো বলিউডের গ্রিক গডের জন্য উপযুক্ত রথ। নিজের ৪২তম জন্মদিনে হূতিক কিনেছিলেন পুরোপুরি কাস্টমাইজ করা ঘোস্ট সিরিজ টুর একটি গাড়ি। এ গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে এ গাড়ির সময় লাগে মাত্র ৪ দশমিক ৯ সেকেন্ড। রোলস রয়েস ঘোস্ট সিরিজ টু গাড়ির দাম ৯ কোটি রুপি।

মার্সিডিজ-মায়বাখ

রোশন পরিবার মার্সিডিজের ভক্ত। পরিবারের অনেকের সংগ্রহেই আছে এ খ্যাতনামা ব্র্যান্ডের গাড়ি। হূতিকের নিজের আছে একটা মার্সিডিজ-মায়বাখ। রোলস রয়েসের পাশাপাশি এটাকে দুনিয়ার অন্যতম গাড়ি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাদা রঙের এ গাড়িতে হূতিককে মাঝে মাঝেই মুম্বাইয়ের বিভিন্ন স্পটে দেখা যায়। এ গাড়ির দাম প্রায় ৩ কোটি রুপি।

পোরশে কাইয়েন টার্বো

এসইউভি ক্যাটাগরিতে হূতিকের সংগ্রহে আছে পোরশে কাইয়েন টার্বো। দারুণ শক্তিশালী ইঞ্জিনের জন্য এ গাড়ি বিখ্যাত। মাত্র ৩ দশমিক ৯ সেকেন্ডে এ গাড়ির গতি উঠতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৮৬ কিলোমিটার। এ গাড়ির দাম প্রায় ২ কোটি রুপি।

১৯৬৬ ফোর্ড মাসটাং

রোলস রয়েস কিংবা মায়বাখ বিলাসবহুল হলেও আইকনিক নয়। আর সম্ভবত তাই হূতিকের গ্যারেজে আছে ১৯৬৬ সালের একটি ফোর্ড মাসটাং। এ গাড়ির অনেক নতুন মডেল বাজারে থাকলেও হূতিক অরিজিনাল মডেলের প্রতিই আগ্রহী ছিলেন। এমন ভিনটেজ কারের মূল্য নির্ধারণ করাটা সম্ভব নয়।

মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস ক্লাস

এ গাড়িতে একবার হূতিক ও তার বাবা রাকেশ রোশন দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন। কিন্তু বাবা-ছেলে কেউই তেমন আঘাত পাননি। তাই মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস ক্লাস গাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং গুণমান নিয়ে তারা মুগ্ধ হয়েছিলেন। এখন বাবা ও ছেলের প্রত্যেকেরই একটি করে মার্সিডিজ-বেঞ্জ এস ক্লাস গাড়ি আছে। গাড়িটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার এবং ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছতে পারে ৪ দশমিক ৮ সেকেন্ডে। এ গাড়ির দাম প্রায় দেড় কোটি রুপি।

হূতিককে একটা দামি হার্লে ডেভিডসন বাইক উপহার দিয়েছিলেন তার এক বন্ধু। বাইকটা তার খুব প্রিয়ও ছিল। কিন্তু তার পরও তিনি সেটা পরে বিক্রি করে দেন। পেছনের কারণটাও বেশ কৌতূহলোদ্দীপক। বাইকটা মুম্বাইবাসীর এতটাই পরিচিত হয়ে গিয়েছিল যে হেলমেট পরে বের হলেও মানুষ বাইক দেখে হূতিককে চিনে ফেলতেন। তাই সেটা চালিয়ে বাইরে যাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে গিয়েছিল।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *