‘হাফ ভাড়া’ দেওয়ায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে রাজধানীর বকশি বাজার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। গতকাল শনিবার সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ্য‌মে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের এক ছাত্রী অভিযোগ করে জানান, হাফ ভাড়া দেয়ায় বাসের চালক ও হেলপার প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন।

[৩] অভিযোগকারী শিক্ষার্থী রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

[৪] ওই ছাত্রীর অভিযোগ, কলেজে ঠিকানা এক্সপ্রেস লিমিটেডের বাসে হাফ ভাড়া দেওয়ায় ওই গাড়ির হেলপার বাস থেকে নামার সময় তাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়। তবে বাসটি দ্রুত চলে যাওয়ায় সে ওই গাড়ির হেলপারের নাম জানতে বা গাড়ির নম্বর লিখে নিতে পারেনি সেই ছাত্রী।

[৫] এই ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছে। সেখানে সে লিখেছে, ‘আমার বাসা শনির আখড়া। এখান থেকে (বকশী বাজার এলাকা) কলেজের ভাড়া ১০ টাকা, প্রতিদিন ১০ টাকা দিয়েই যাচ্ছি। আজকে কলেজে যাওয়ার সময় ঠিকানা বাসে করে গিয়েছিলাম। তো আজকে হেলপারকে ২০ টাকার নোট দিলে সে ভাড়া রাখছে ১৫ টাকা। আমি তাকে ভালো করেই বলছিলাম আমার ১০ টাকা ফেরত দিতে, বাট সে দেয় তো নাই উল্টা বলে ‘দিমু না কী করবি কর’। এরপর চিল্লানোর পর সে বলে ‘গলা বড় করবি না, পাঁচ টাকা নে না হয় নাইমা যা’।

[৬] ‘বাসের একটা মানুষও তাকে একটা কথাও বলে নাই। কেউ কিচ্ছু বলে নাই। ইভেন একটা পুলিশও ছিল, সেও কিছুই বলে নাই। এরপর নামার সময় পাঁচ টাকা হাতে ধরায় দিয়ে বলে “নে তোর টাকা, প্রতিদিনি তো আসবি একদিন ধইরা …. কোথাকার”। এই কথা যখন বলছে বাস অলরেডি রানিংয়ে, আমি তাকে কিছু বলার সু্যোগও পাইনি আর বাসের নম্বর নোট করারও সুযোগ পাইনি। জোরে বাস টেনে চলে গেছে।’[১] মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে ছয় কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে পুলিশ[১] ফরিদপুরে ইউপি নির্বাচনে ফুটবল প্রতীকে চুলের কাটিংপরকীয়ায় ঘর ছেড়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে তিন সন্তানের জননীর কাণ্ড!

[৭] স্ট্যাটাসে ওই ছাত্রী আরও বলে, এখন আমার কথা হচ্ছে প্রতিদিন বাসের এমন ভোগান্তিতে পড়া লাগে। আমাদের ওঠায় না। আমাদের এখান থেকে প্রতিদিন অনেক মেয়ে যায় কলেজে। আমরা যদি এখন কিছু না বলি সামনে আরও প্রব্লেমে পড়তে হবে। ঠিকানা, মৌমিতা আমাদের কলেজের সামনে দিয়েই যায়। আমরা সবাই মিলে যদি একদিন রাস্তাটা ঠিকানা আর মৌমিতার জন্য বন্ধ করে দেই আমার মনে হয় এদের তেজ কমবে। আমি আশা করছি, এই কলেজের স্টুডেন্ট হয়ে আমার প্রতি এই আচরণের প্রতিবাদ তোমরা করবে।

[৮] স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলে, ‘আমি শনির আখড়া থেকে ঠিকানা বাসে কলেজে আসছিলাম। বাসের হাফ ভাড়া ১০ টাকা। আমি ২০ টাকার নোট দিলে সে আমাকে পাঁচ টাকা ফেতর দেয়। পরে আরও পাঁচ টাকা চাইলে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। সে আমাকে বলে, ‘গলা নামায়ে কথা বল’। পরে গাড়ি থেকে নামলে পাঁচ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়। কলেজের সামনে মোড় দিয়ে গাড়ি টান দিয়ে চলে যায়। গাড়ির নম্বর নোট করার সুযোগ পাইনি ‘ জাগো নিউজ

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *