ইলোন মাস্ক বা জেফ বেজোসের মত বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা এগিয়ে এলেই দরিদ্র দূর করা সহজ হয়ে যাবে। গত মাসের শেষের দিকে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেছিলেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) পরিচালক ডেভিড বিসলে। টেলিভিশনটির কানেক্ট দ্য ওয়ার্ল্ড প্রোগ্রামে তিনি বলেন, বিশ্বে চরম খাদ্য সংকটে ভুগছে চার কোটি ২০ লাখ মানুষ। তাদের জন্য ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এই চাহিদা মিটতে পারে ইলোন মাস্কের সম্পদের মাত্র ২ শতাংশ দিয়ে।
এরপর এই ইস্যু নিয়ে পাল্টা টুইট করেন স্পেসএক্স ও টেসলার কর্ণধার ইলোন মাস্ক। তিনি টুইটার পোস্টে ব্যাখ্যা দাবি করে বলেন, কীভাবে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে এত মানুষের খাদ্য সংকট মিটবে সেটি যদি তিনি (ডেভিড বিসলে) দেখাতে পারেন, তাহলে ২ শতাংশ সম্পদ দিতে তার আপত্তি নেই। প্রয়োজনে শেয়ার বিক্রি করারও ঘোষণা দেন তিনি।
ইলোন মাস্কের ৩১ অক্টোবর দেয়া এই টুইট বার্তার পর পেরিয়ে গেছে প্রায় তিন সপ্তাহ। অবশেষে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) পরিচালক ডেভিড বিসলে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে গত সোমবার ১ হাজার শব্দের একটি লিংক টুইটারে শেয়ার করেছেন ডেভিড। এতে তিনি কীভাবে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে উপনীত চরম খাদ্য সংকটে থাকা বিশ্বের ৪৩টি দেশের চার কোটির বেশি মানুষকে খাওয়ানোর জন্য ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন তার ব্যাখ্যা করেন।
ডব্লিউএফপি পরিচালক তার নথিতে উল্লেখ করেন, খাদ্য কেনা ও বিতরণের জন্য ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, নগদ ও খাদ্য ভাউচার বাবদে ২ বিলিয়ন ডলার, খাদ্য কর্মসূচি পরিচালনার ব্যয় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও কর্মসূচি পরিচালনা ও সাপ্লাই চেইনের সমন্বয়ের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে আরো ৪০০ মিলিয়ন ডলার।
সিএনএন জানিয়েছে, ডেভিড বিসলে তার লেখায় আরো উল্লেখ করেন, কভিড, সংঘর্ষ, জলবায়ু সমস্যা, বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের মুখোমুখি বিশ্ব। তিনি মাস্ককে ট্যাগ করে তার উদ্দেশে বলেন, বিষয়টিকে এগিয়ে নিতে আপনি ব্যাখ্যা চেয়েছেন। সেটি দেয়া হলো। আপনিসহ যেকারো সাথে আমরা আলোচনা করতে চাই যারা মানুষের জীবন রক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
কয়েকদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও এ বিষয়ে কিছু বলেননি বিশ্বের একমাত্র ট্রিলিয়ন ক্লাবের সদস্য এই মার্কিন ধনকুবের।