সেলফোন অপারেটরদের মূলধনি ব্যয় কমেছে ১.৩%

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সেলফোন অপারেটরদের মূলধনি ব্যয় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৭ হাজার ২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই প্রান্তিকে অপারেটরদের রাজস্ব ২ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৪৪ হাজার ৬৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এমটিএন কনসাল্টিংয়ের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর টেলিকম লিড।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেলিকম অপারেটরগুলোর গড় ১২ মাসের ‘ক্যাপিটাল ইনটেনসিটি’ বা মূলধনের তীব্রতা জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বেড়ে ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ছিল ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কভিড-১৯ মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সেলফোন অপারেটরগুলোর ওপর। তবে মহামারীর কারণে মোবাইল ডাটা এবং সেলফোন সেবার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অপারেটরগুলোর আর্থিক ক্ষতি খুব একটা হয়নি। বিভিন্ন দেশের সরকার ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে সেলফোন সেবাকে অত্যন্ত জরুরি সেবা ঘোষণা করায় আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে টেলিকম সরঞ্জাম সরবরাহকারী ভেন্ডরদের রাজস্ব ৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।  

গত বছর চতুর্থ প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম বিক্রি ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওই সময়ই সতর্ক করা হয়েছিল যে কভিড-১৯ মহামারীর কারণে চলতি বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যেতে পারে।

এমটিএনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ, সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়া ও দুর্বল অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের কারণে গত বছর টেলিকম অপারেটরদের ব্যয় কমেছে। এর ধারবাহিকতা অব্যাহত থেকেছে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও। গত বছর সেলফোন অপারেটরদের মূলধনি ব্যয় কমেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। আর পরিচালন ব্যয় কমেছে ২ শতাংশ। তবে গত বছর চতুর্থ প্রান্তিকে মূলধনি ব্যয় কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের মূলধনি ব্যয় কমাতে ওপেন নেটওয়ার্কিং, ক্লাউড পার্টনারশিপ ও অসেট স্পিনঅফের মতো কৌশলের দিকে বেশি ঝুঁকছে। অপারেটরদের মূলধনি ব্যয় কমানোর কিছু কারণ খুঁজে বের করেছে এমটিএন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পরিসরে নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য উপযুক্ত স্পেকট্রামের অভাব, নতুন স্পেকট্রামের খরচ নিয়ে উদ্বেগ, বিশ্বের শীর্ষ নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহকারী হুয়াওয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে উদ্বেগ ইত্যাদি।

গত বছর বিশ্বে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহকারী শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো—হুয়াওয়ে, এরিকসন, নকিয়া, চায়না কমসার্ভিস, সিসকো, জিটিই, কমস্কোপ, এনইসি, ইন্টেল ও স্যামসাং। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে হুয়াওয়ে ৪ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। অল্পের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা এরিকসন ও নকিয়ার সম্মিলিত আয়কে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজার কিছুটা হারাতে হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। এখনো মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞার কারণে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম বাজারে খারাপ সময় পার করছে হুয়াওয়ে।

জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে আয় বেড়েছে এনইসি, স্যামসাং, এরিকসন ও ইন্টেলের। এছাড়া শীর্ষ দশের তালিকার বাইরে থাকা ইনফোসিসের আয়ও বেড়েছে। ভালো ব্যবসা করেছে ডাইকম, সিয়েনা, ম্যাভেনির, অ্যামডকস ও ডেল টেকনোলজিসও। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য বিরোধের প্রধান ভুক্তভোগী হুয়াওয়ে চাপে থাকায় নকিয়া ও এরিকসনের জন্য ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গত প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ফাইভজি উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী কয়েক ডজন নতুন চুক্তি বাগিয়ে নিয়েছে এ দুই প্রতিষ্ঠান।

চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) সেলফোন অপারেটরদের মূলধনি ব্যয় ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৭ হাজার ২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। একই প্রান্তিকে অপারেটরদের রাজস্ব ২ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৪৪ হাজার ৬৩০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এমটিএন কনসাল্টিংয়ের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। খবর টেলিকম লিড।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেলিকম অপারেটরগুলোর গড় ১২ মাসের ‘ক্যাপিটাল ইনটেনসিটি’ বা মূলধনের তীব্রতা জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বেড়ে ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ছিল ১৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কভিড-১৯ মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সেলফোন অপারেটরগুলোর ওপর। তবে মহামারীর কারণে মোবাইল ডাটা এবং সেলফোন সেবার চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অপারেটরগুলোর আর্থিক ক্ষতি খুব একটা হয়নি। বিভিন্ন দেশের সরকার ভয়াবহ এ পরিস্থিতিতে সেলফোন সেবাকে অত্যন্ত জরুরি সেবা ঘোষণা করায় আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহায়তা করেছে। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে টেলিকম সরঞ্জাম সরবরাহকারী ভেন্ডরদের রাজস্ব ৪ দশমিক ৩ শতাংশ কমে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে।  

গত বছর চতুর্থ প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম বিক্রি ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৫ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওই সময়ই সতর্ক করা হয়েছিল যে কভিড-১৯ মহামারীর কারণে চলতি বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যেতে পারে।

এমটিএনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ, সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়া ও দুর্বল অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের কারণে গত বছর টেলিকম অপারেটরদের ব্যয় কমেছে। এর ধারবাহিকতা অব্যাহত থেকেছে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও। গত বছর সেলফোন অপারেটরদের মূলধনি ব্যয় কমেছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। আর পরিচালন ব্যয় কমেছে ২ শতাংশ। তবে গত বছর চতুর্থ প্রান্তিকে মূলধনি ব্যয় কমেছে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ।

টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের মূলধনি ব্যয় কমাতে ওপেন নেটওয়ার্কিং, ক্লাউড পার্টনারশিপ ও অসেট স্পিনঅফের মতো কৌশলের দিকে বেশি ঝুঁকছে। অপারেটরদের মূলধনি ব্যয় কমানোর কিছু কারণ খুঁজে বের করেছে এমটিএন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পরিসরে নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য উপযুক্ত স্পেকট্রামের অভাব, নতুন স্পেকট্রামের খরচ নিয়ে উদ্বেগ, বিশ্বের শীর্ষ নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহকারী হুয়াওয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে উদ্বেগ ইত্যাদি।

গত বছর বিশ্বে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহকারী শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো—হুয়াওয়ে, এরিকসন, নকিয়া, চায়না কমসার্ভিস, সিসকো, জিটিই, কমস্কোপ, এনইসি, ইন্টেল ও স্যামসাং। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে হুয়াওয়ে ৪ হাজার ২৯০ কোটি ডলার। অল্পের জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা এরিকসন ও নকিয়ার সম্মিলিত আয়কে ছাড়িয়ে যেতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজার কিছুটা হারাতে হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। এখনো মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের নিষেধাজ্ঞার কারণে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম বাজারে খারাপ সময় পার করছে হুয়াওয়ে।

জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে আয় বেড়েছে এনইসি, স্যামসাং, এরিকসন ও ইন্টেলের। এছাড়া শীর্ষ দশের তালিকার বাইরে থাকা ইনফোসিসের আয়ও বেড়েছে। ভালো ব্যবসা করেছে ডাইকম, সিয়েনা, ম্যাভেনির, অ্যামডকস ও ডেল টেকনোলজিসও। যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য বিরোধের প্রধান ভুক্তভোগী হুয়াওয়ে চাপে থাকায় নকিয়া ও এরিকসনের জন্য ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গত প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ফাইভজি উন্নয়নে বিশ্বব্যাপী কয়েক ডজন নতুন চুক্তি বাগিয়ে নিয়েছে এ দুই প্রতিষ্ঠান।

জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে অনেক নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ভেন্ডর ফাইভজি সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বিভাগের রাজস্ব আয় বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। এরিকসনের দাবি, গত প্রান্তিকে তারা কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় সেলফোন অপারেটরের সঙ্গে ৮৬টি ফাইভজি সংক্রান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া নকিয়া ৭০টি নতুন চুক্তির কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে হুয়াওয়ে, স্যামসাং ও জিটিই গত প্রান্তিকে ফাইভজি সংশ্লিষ্ট কতসংখ্যক চুক্তি সম্পন্ন করেছে তা প্রকাশ করেনি।

জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে অনেক নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ভেন্ডর ফাইভজি সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বিভাগের রাজস্ব আয় বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। এরিকসনের দাবি, গত প্রান্তিকে তারা কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় সেলফোন অপারেটরের সঙ্গে ৮৬টি ফাইভজি সংক্রান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছে। এছাড়া নকিয়া ৭০টি নতুন চুক্তির কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে হুয়াওয়ে, স্যামসাং ও জিটিই গত প্রান্তিকে ফাইভজি সংশ্লিষ্ট কতসংখ্যক চুক্তি সম্পন্ন করেছে তা প্রকাশ করেনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *