সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে

ক্রমবর্ধমান রোগের কারণে জনগণকে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা প্রদান সরকারের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্যকে শুধু চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে হবে।

গতকাল ‘সাসটেইনেবল ফান্ডিং ফর হেলথ প্রমোশন’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। থাই হেলথ ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি), বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট সম্মিলিতভাবে দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল এ সম্মেলনের আয়োজক, আজ যার শেষ দিন।

ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন থাই হেলথের প্রতিষ্ঠাতা প্রাকিত ভাতিসাতোগকিত। অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম এনায়েত হোসেন, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া, হেলথ ব্রিজের আঞ্চলিক পরিচালক দেবরা ইফরইমসন, পথিকৃত ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী প্রমুখ।

ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে খাদ্যগুলো ক্ষতিকর যেমন কোমলপানীয়, তামাক, জাংক ফুডে উচ্চ কর আরোপ করতে হবে। অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করা না গেলে ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের প্রতিটি পরিবারে একজন করে ডায়ালাইসিস করাতে হবে। ডায়াবেটিসের কারণে দেশের ২০ ভাগ লোক দৃষ্টিশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে। আমাদের অবকাঠামো নির্মাণে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এভাবে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত এমপি বলেন, আমাদের রোগীদের চিকিৎসা ব্যয়ের প্রায় ৭০ ভাগ নিজের থেকে ব্যয় করতে হচ্ছে। আমাদের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট কম। ১৪ ভাগ মানুষ তাদের মোট আয়ের ১০ ভাগ স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে আমাদের অর্জন আছে, কমিউনিটি হেলথ কেয়ার আজ বিশ্বের দরবারে সফল মডেল। মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার কমাতে সফল হয়েছি। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কাজ করলে হবে না। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে।

এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকেই গুরুত্ব দিয়েই কর্মপরিকল্পনা হচ্ছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *