দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে শিশু হারিয়ে গেলে জেল-জরিমানা

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে কোনো শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর জেলের পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রেখে এ-সংক্রান্ত আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে ‘ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন এবং দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সভা শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন আড়াই বছর ধরে ঘোরাঘুরি করছিল, গত তিন-চার মাসে একটু কেয়ার নিয়ে এটা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ আইন প্রবর্তনের পর সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণীর কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার পাশাপাশি আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ গ্রহণ করে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবেন।

কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে কীভাবে তা করতে হবে, আইনে তা বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নির্ধারিত শিশু বা ক্ষেত্রমতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তিন মাসে একবার শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে।

তিনি বলেন, এ আইন পাস হওয়ার পর অনুমোদন ছাড়া কেউ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে না। অনুমোদন ছাড়া এসব পরিচালনা করলে অপরাধ হবে। শিশুর জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন, কর্তব্যে অবহেলা, শিশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করলে দণ্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্ট্রং মেসেজ সবাইকে দেয়া হয়েছে, কোনো রকমের কেয়ারলেস বা ইলিগ্যাল কাজ করা যাবে না।

সচিব আরো জানান, বাংলাদেশ ও মরক্কোর মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন, দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, দ্বৈত করারোপ পরিহারে বিষয়টি নিয়ে আসা হয়েছে এজন্য যে, দুই জায়গায় ট্যাক্স দিতে হতো। চুক্তির ফলে দুই জায়গায় বা দুই দেশে ট্যাক্স দিতে হবে না।

‘ব্যাংকার বহি সাক্ষ্য আইন, ২০২১’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ-সংক্রান্ত ১৯৯১ সালের একটি আইন ছিল। পরে নতুন করে আইন করতে খসড়া নিয়ে আসা হয়। ব্যাংকের যেসব বই যেমন লেজার বুক, ক্যাশ বুক এগুলোকে সাক্ষ্য বই বলা হয়। নতুন আইনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেসব রেকর্ড হবে সেগুলোও সাক্ষ্য বহি আইন বলে বিবেচিত হবে। ব্যাংকগুলোর লেজার বুক, ক্যাশ বুক, লোন ডিসপার্জ বুক যা আছে সবই অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *