ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি কর্মসূচি প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারে একটি মাইলফলক। শিশুরাই জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজের আগামীর সৈনিক। প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে ভবিষ্যৎ জাতি গঠনের সোপান। আজকের শিশুরাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। ওদের হাত ধরেই বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।
মন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপবৃত্তি প্রদানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মো. হাসিবুল আলম এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মোহাম্মদ মনসুর বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সমৃদ্ধ জাতি বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছেন।
মোস্তাফা জব্বার শিক্ষক অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেধাবী জাতি বিনির্মাণে প্রাথমিক শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের চলমান কর্মসূচি সফল করতে সম্মিলিত উদ্যোগে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় দ্বীপ, চর ও হাওর অঞ্চলসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি।
মন্ত্রী বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থে আমরা এরই মধ্যে দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলের ৬৫০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষার কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছি। এরই মধ্য দিয়ে দেশে ডিজিটাল শিক্ষা বিস্তারের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতে চলেছে।
শৈশবকালের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদানের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, শিশুদের প্রতি সবচেয়ে যত্নশীল হওয়ার মাধ্যমে একটি মেধাবী জাতি বিনির্মাণের বিকল্প নেই। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির কারণেই শিক্ষাকে সচল রাখা ও মিটিংসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করতে পারছি।
পরে মন্ত্রী নগদের মাধ্যমে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং অনলাইন প্লাটফর্মে সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা অংশ নেন।