সাইফ স্পোর্টিংয়ের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ফিফা

সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে তিন বিদেশি ফুটবলারের আর্থিক পাওনা নিয়ে জটিলতার অবসান ঘটেছে। সেই সঙ্গে উঠে গেছে ফিফার নিষেধাজ্ঞাও। ২০১৬ সালে তিন বিদেশি ফুটবলারের পারিশ্রামিক পরিশোধ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয় সাইফ স্পোর্টিংয়ের। ওই তিন ফুটবলার পরবর্তীতে নালিশ করে বিশ্ব ফুটলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার কাছে। ফিফা তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে গত ২রা মে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে ফুটবলারদের পাওনা মিটিয়ে দিতে বলে এবং পাওনা পরিশোধ না করা পর্যন্ত খেলোয়াড় দলবদলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পাওনা পারিশ্রামিক পরিশোধের পর গতকাল (১৭ই জুলাই) সাইফ স্পোর্টিংয়ের উপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ফিফা।

কেন নিষেধাজ্ঞা পেতে হয়েছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে?

ঘটনাটা ২০১৬ সালের। তখন পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়শিপ লীগ থেকে প্রমোশন পেয়ে প্রিমিয়ার লীগে উঠেছে কর্পোরেট ক্লাবটি। ভালো মানের বিদেশী ফুটবলার দলে ভেড়াতে ট্রায়ালে ডাকা হয় বেশ কিছু ফুটবলার।
তাদের মধ্যে ছিলেন স্লোভাকিয়ার ম্যাকো ভিলিয়াম, মন্টেনেগ্রোর সাভা গার্দাসেভিচ ও সার্বিয়ার গোরাম অব্রদোভিচ। অথচ এই তিন ফুটবলারের খেলা হয়নি এক ম্যাচও। কিন্তু পাওনা পারিশ্রামিক বুঝে পাননি এই তিন ইউরোপিয়ান ফুটবলার। পারিশ্রামিক না পাওয়ায় ফিফার কাছে নালিশ করেন তারা। সে অনুযায়ী জরিমানাসহ সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবকে এক লাখ ডলার পরিশোধে নির্দেশ দেয় ফিফা। যার শেষ দিন ছিল গত ২৩শে এপ্রিল। নির্দেশনা না মানায় সাইফকে নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। ফিফার দেয়া নির্দেশনায় তখন জানানো হয়, ‘পাওনা পরিশোধ করার আগে পর্যন্ত দেশি-বিদেশি কোনো খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে না দেশের শীর্ষ দলটি। এমনকি জুনিয়র দলের খেলোয়াড়ও রেজিস্ট্রেশন করাতে পারবে না তারা।’

ক্লাবটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী সেসময় বলেছিলেন, ‘২০১৬ সালে আমাদের জন্য সবকিছুই নতুন ছিল। অনেক নিয়ম-কানুন সম্পর্কে আমরা জানতাম না। ফিফার দেয়া সময়ের মধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধের উদ্যোগ নিয়েছিলাম আমরা। দেশে ছুটি চলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় সময়মতো তাদের পারিশ্রামিক পরিশোধ সম্ভব হয়নি।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *