হতাশা লুকিয়ে রাখতে পারলেন না মেসি

বার্সেলোনাকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। চলমান লা লিগায় ২৩ গোল করার পাশাপাশি করিয়েছেন ২০ গোল। কাতালানদের মোট গোল সংখ্যা ৮১। দলের অর্ধেকেরও বেশি গোলে অবদান লিওনেল মেসির। বৃহস্পতিবারও করেছেন এক গোল। ১০ জনের ওসাসুনার বিপক্ষে যা যথেষ্ট ছিল না। কোচ কিকে সেতিয়েনের দল হেরে গেছে ২-১ গোলে। মাঝারি সারির দলের কাছে ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে এমন হারে হতাশ, ক্ষুব্ধ বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
জুনে লা লিগা ফেরার পর ১০ ম্যাচে প্রথম হারলো বার্সেলোনা। ড্র তিন ম্যাচে। এই দশ ম্যাচের বেশিরভাগই কাতালানরা ছিল নিষ্প্রভ, ছন্দহীন। আর লিওনেল মেসি বাতলে দিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর পথ, ‘এই মৌসুমে আমাদের এখনো কিছু পাওয়ার আছে। সেজন্য বদলাতে হবে অনেক কিছুই। আমি আগেই বলেছিলাম, এভাবে খেললে এই মৌসুমে শিরোপা ছাড়াই কাটাতে হবে বার্সেলোনাকে। শেষ পর্যন্ত সেটাই ঘটতে পারে। যদি চ্যাম্পিয়ন্স লীগে মাঠে নামার আগে বদল না আনা যায়। পারফরমেন্সের উন্নতি না করতে পারলে আমরা নাপোলির কাছে হেরেও যেতে পারি।’ ৯ই আগস্ট ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে নাপোলির মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা। প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করেছিল কাতালানরা। মেসি বলেন, ‘সামনের কিছুদিনের বিরতিতে আমাদের সবকিছু গুছিয়ে নিতে হবে। জানুয়ারি থেকে চলতে থাকা এই খারাপ সময়টা ভুলতে সাফল্য পেতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে।’
লিওনেল মেসি মেনে নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের শ্রেষ্ঠত্ব। ব্যর্থতার জন্য কাঠগড়ায় তুলেছেন নিজেদেরই, ‘রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের কাজ করে গেছে। সফলও হয়েছে। বিরতি থেকে ফিরে তারা একটি ম্যাচেও হারেনি। অন্যদিকে আমরা একের পর এক ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে চলেছি। এজন্য খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সবাইকে নিজেদের ভুলগুলো খুঁজে বের করতে হবে।’
সমর্থকরা মাঠে থাকলে হয়তো দুয়ো শুনতে হতো মেসিদের। বার্সা অধিনায়ক সমর্থকদের অবস্থাও বুঝতে পারছেন, ‘ক্লাবের সমর্থকরা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের খেলায় হতাশ। আমরা নিজেরাও তাই। সমর্থকরা এমন ফলাফল দেখতে দেখতে ক্লান্ত। তারা যে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত এতে তাদের কোনো দোষ নেই। কারণ আমরাই তাদের কিছু দিতে পারিনি।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *