কোনো দেশের সরকারের হয়ে যারা সাংবাদিক বা অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর নির্যাতন করবে তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। এমনকি অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেয়া হবে না। শুক্রবার এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী টনি ব্লিনকেন নতুন এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার নাম দেয়া হয়েছে খাসোগজি ব্যান। যুগান্তর, মানবজমিন, বিডিনিউজ
[৩] দুই বছর আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে নির্বাসিত সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যায় সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুমোদন ছিলো বলে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর এ ঘোষণা এলো।
[৪] সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যাকাণ্ডে জড়িতসহ বিদেশে নির্বাসিতদের হুমকিদাতা হিসাবে চিহ্নিত সৌদি আরবের ৭৬ জনের ওপর ইতোমধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ কথা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অন্য কোনো দেশের সরকারের পক্ষে অপরাধ সংঘটনকারীরা নির্বাসিতদের টার্গেট করে আমেরিকার মাটিতে ঢুকতে পারবে না।
[৫] নতুন নিয়মের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সেইসব ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে- যারা কোনো দেশের সরকারের পক্ষে নির্বাসিত বা নির্বাসিত হতে পারেন এমন সাংবাদিক, অ্যাক্টিভিস্ট বা অন্য ব্যক্তিকে নিপীড়ন, হয়রানি, নজরদারি, হুমকি বা ক্ষয়ক্ষতিসহ গুরুতর কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবেন অথবা দেশের বাইরে গিয়ে ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাজ করবেন। ওই সব ব্যক্তির পরিবার এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের ওপরও নতুন এ ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
[৬] টনি ব্লিনকেন জানান, কোনো দেশের সরকার শুধু মৌলিক স্বাধীনতা চর্চার জন্য দেশের মধ্যে বা বাইরে কাউকে ‘টার্গেট’ করলে সেই সরকারের ওপরও যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখবে।