সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা পেলেই খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মহামারি করোনায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের জীবনে। দেড় বছরের বেশি সময় তারা ঘরে রয়েছে।
অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষা নিলেও শিক্ষার্থীদের এই ঘরবন্দি জীবন তাদের মনের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে দ্রুত টিকা দেওয়ার পরই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ধাপে ধাপে খোলার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে চলছে বিভিন্ন পর্যায়ে চিন্তা-ভাবনা।

একই সময়ে এবারের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সরাসরি ক্লাস শুরুর ব্যাপারটিও ভাবনায় থাকছে। তবে মধ্য নভেম্বরে ছোট পরিসরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা শেষে পুরোদমে স্কুল-কলেজও খুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা চলছে।

বুধবার ১১ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাই এবং নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বিশেষ করে গণটিকা কর্মসূচি শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে টিকা নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ শতাংশ শিক্ষকই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় দুই লাখ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর বেশির ভাগই প্রথম ডোজ নিয়েছেন। এক-দেড় মাসের মধ্যে প্রায় সব শিক্ষার্থীরই দুই ডোজ টিকা নেওয়া শেষ হবে।

সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর টিকা নেওয়া থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে বাধা থাকবে না।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *