লকডাউনে সরকারের গদি নড়াতে চায় বিএনপি-জামাত: ওলামা লীগ

সারা দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩টি ইসলামিক দলের নেতারা বলেছেন, ‘লকডাউন জোরদার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করতে চাচ্ছে বিএনপি-জামাত। মানুষ মারার জন্য এবং সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্যই তারা লকডাউন দাবি করছে। যাতে করে চিকিৎসা না পেয়ে, না খেয়ে মানুষ মারা যায়। যাতে করে দেশে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে এবং জনরোষ তৈরি হয়। আর সেই সুযোগে তারা সরকারের গদি নড়িয়ে দিতে চায়। লকডাউন ব্যাপক জোরদার করে সরকারের পতন ঘটাতে চায়।’

তারা বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ইস্যুতে কোনও প্যানিক তৈরি না করার আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু জামায়াতি তথা ধর্মব্যবসায়ীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কঠিন আতঙ্ক তৈরি করেছে। অথচ তারা এতদিন জোর গলায় প্রচার করতো- সবকিছু দেয়ার মালিক একমাত্র মহান আল্লাহপাক। কিন্তু করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচানোর মালিক যে মহান আল্লাহ পাক সেটা এখন আর তারা প্রচার করছে না।’

সোমবার (২২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে করোনা ভাইরাস নিয়ে ৭ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে ওলামা লীগ নেতারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, ‘বিএনপি জামাতের সুরে সুর মিলিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক দুর্নীতিবাজ ডিজির আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং ধর্মব্যবসায়ীরা করোনাকে ছোঁয়াচে ও মহামারি বলে সরকারকে লকডাউন ঘোষণা করতে বাধ্য করেছে। এদিকে, জামাতি মুনাফেক কওমি ও ধর্মব্যবসায়ী মাওলানারা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য, সরকারকে ইসলামবিরোধী প্রমাণ করার জন্য দ্বীনদারদের দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার জন্য পবিত্র দ্বীন ইসলামের ‘অপব্যাখ্যা’ করে লকডাউনের পক্ষে উদ্দেশ্যমূলক ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কাজ করেছে। তারা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’

বক্তারা বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফের বাংলা অনুবাদের দলীল-আদিল্লাহর মাধ্যমেই প্রমাণিত যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলামে তথা সম্মানিত শরীয়তে সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই। সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে বিশ্বাস করা কাট্টা কুফরী ও শিরকীর অন্তর্ভুক্ত। ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিজেই নিজের প্রকাশিত কিতাবের বিরুদ্ধে ফতওয়া প্রকাশ করে চরম মূর্খতার পরিচয় দিয়েছে।’

ওলামা লীগ নেতারা আরও বলেন, ‘ধর্মব্যবসায়ীদের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে অবিলম্বে আত্মঘাতি লকডাউন তুলে দিতে হবে। ‘করোনা ছোঁয়াচে বা মহামারি’ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এ ফতোয়া প্রত্যাহার করতে হবে। কাতারে ফাঁক হয়ে দাঁড়ালে তার মধ্যে শয়তান ঢুকে এবং জামাত ফাসেদ হয়। তাই মসজিদে কাতার পূর্ণ করে দাঁড়াতে হবে। মাঠে ঈদের জামাত পড়তে হবে।’

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- ওলামা লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মাদ আকতার হুসাইন বোখারী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান সেখ শরিয়তপুরী, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তার, ওলামা লীগের দফতর সম্পাদক মাওলানা মোহাম্মাদ শওকত হোসেন আলী শেখ ছিলিমপুরী।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *