দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুদ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। ভোজ্যতেলের ওপর থেকে ট্যাক্স ও ভ্যাট প্রত্যাহারের সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের মানুষ। গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনাসংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আফজাল হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে তদারকি জোরদার করা হয়েছে। দাম স্বাভাবিক রাখতে পণ্যের সরবরাহ আরো বৃদ্ধির চেষ্টা চালানো হচ্ছে। দেশে পর্যাপ্ত ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে। অন্যান্য পণ্যের পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই।
টিপু মুনশি বলেন, দেশের নিম্ন আয়ের এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকিমূল্যে তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দেয়া হচ্ছে। পণ্য আমদানি ও সরবরাহে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমদানি পণ্যের দ্রুত খালাস ও শুল্কায়ন, দ্রুত পরিবহনে ব্যবস্থা করা হয়েছে। পণ্যের আমদানি, পাইকারি বা ডিলার পর্যায়ে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এর আগে আমদানি পর্যায়ে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এবং অপরিশোধিত পাম অয়েলের ওপর ভ্যাটের পরিমাণ ১৫ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে সরকার। গত ১৬ মার্চ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ-সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত ভোজ্যতেলের ওপর ভ্যাট হ্রাসের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। এছাড়া ১৪ মার্চ উৎপাদন ও ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের ওপর মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে এক আদেশ জারি করে এনবিআর।