চলমান ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ প্রতিবাদ বর্ণবাদসহ কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ ও কর্মীদের প্রতি অন্যায় আচরণের বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে এসেছে। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় মার্কিন পুলিশের বর্ণবাদী আচরণ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ শুরু করে। ক্রমেই এ প্রতিবাদ বড় আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। ইতিহাসের বড় আকারের নাগরিক অধিকার আন্দোলনগুলোর মধ্যে এটিকে গণ্য করা হচ্ছে।
ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বা বিএলএম আরো অনেক বিষয়ে আলোকপাত শুরু করেছে, যেগুলো নিয়ে এতদিন কোনো কথা হয়নি। অনেক ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বর্ণবাদী আচরণ এতদিন চাদরের নিচে ঢাকা ছিল। ডায়েট প্রাডা নামের ফ্যাশন ওয়াচডগ বর্ণবাদী আচরণ করা ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোকে সামনে আনার চেষ্টা করছে। এদের অনেকের বর্ণবাদের বিষয়টি তীব্র। এগুলো নিয়ে এতদিন কোনো কথা হয়নি। এক রকম মাটি চাপা দেয়া ছিল। কিন্তু এখন এগুলো চিন্তাশীল আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি ফ্যাশন ম্যাগাজিন ‘ভোগ’-এর বণবাদী কার্যকলাপের কিছু বিষয় সামনে চলে আসে।এর আগে কৃষ্ণাঙ্গ অনেক কর্মচারী সামনে এগিয়ে এসে যখন তাদের সংগ্রামের কথা বলতে চেয়েছিলেন তখন কোম্পানির পক্ষ থেকে ই-মেলই পাঠিয়ে ক্ষমা চাওয়া হয়েছিল। এসব বিষয় ছাড়াও ডায়েট প্রাডা আমেরিকান ভোগ ম্যাগাজিনের ইতিহাস থেকে বিতর্কিত কিছু বিষয়ও তুলে এনেছে। বছরের পর বছর ধরে ভোগ ম্যাগজিন কৃষ্ণাঙ্গ মডেলদের ‘প্রপ’ হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এর আগে এ নিয়ে ডায়েট প্রাডা গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাদের প্রতিবেদনে জড়িয়ে ছিল অনেক বড় নাম—কেন্ডাল জেনার, কারলি ক্লস, লেব্রন জেমস, স্কারলেট জোহানসন, ইরিনা শেকসহ আরো অনেক।
এসব পোস্টের ২০১৯-এর এপ্রিলে প্রকাশিত ভোগের একটি প্রচ্ছদ আলোচনায় আসে। এতে স্পষ্টভাবে বলা হয় যে প্রচ্ছদটিতে শ্বেতাঙ্গ তারকারা মনোযোগের কেন্দ্রে ছিলেন। আরদুয়া এতোমি ও দীপিকা পাড়ুকোনের মতো অশ্বেতাঙ্গ অভিনেত্রীদের পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। অন্যদিকে অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন ও ভেনেসা কারবিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রচ্ছদে উপস্থাপন করা হয়েছিল।