ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন অঙ্গীকার করলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি জাতিগত সমতায় আরো উন্নতি আনার চেষ্টা করবেন আর বর্ণভেদে যে অর্থনৈতিক অসমতা রয়েছে তা লাঘব করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করবেন।
নিজ শহর উলমিংটনে দেয়া বিবৃতিতে বাইডেন অঙ্গীকার করেন- কৃষ্ণাঙ্গ, ল্যাটিনো ও আমেরিকান আদিবাসীদের ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টিতেও তিনি কাজ করবেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্ণবাদের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বাইডেন। এছাড়া নভেল করোনাভাইরাস থেকে আমেরিকানদের রক্ষায় ট্রাম্প ব্যর্থ হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আগামী নির্বাচনে জনমত জরিপে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে রয়েছেন বাইডেন। বলেছেন, আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি রানিংমেট বেছে নেবেন। আগেই বলেছেন, তার ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন একজন নারী।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা বাইডেন বলেন, ‘এই নির্বাচনটি শুধুই ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার নির্বাচন নয়। এটা এই মুহূর্তের সংকটকে তুলে ধরার, মানুষের সংগ্রামকে বুঝবার এবং তাদের সাহসিকতা ও অতিক্রম করার প্রয়াসের ওপর যোগ্য একটি ভবিষ্যত গড়ে তোলার।’
বিভক্তির রাজনীতি করার জন্য ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করে বাইডেন বলেন, ‘এটা দেশকে বিভক্ত করার পায়তারা। ঈশ^রকে ধন্যবাদ, আমেরিকান মানুষ এখন পর্যন্ত সেদিকে পা দেয়নি। ৭৭ শতাংশ মানুষ যে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার বলবে, তা কি কখনো আপনারা ভেবেছেন? কারণ তারা দেখেছে যে কী ঘটেছে। এবং তারা এই বর্ণবাদী বিভক্তির পক্ষে নয়। এটাই শুরু থেকে সে (ট্রাম্প) করে এসেছে।’
বাইডেন জানান, নতুন মূলধন সৃষ্টি ও ছোট ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টির জন্য তিনি ১৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করবেন যেগুলো এতদিন ধরে উপেক্ষিতই থেকেছে। এজন্য অল্প সুদে ছোট ব্যবসায়ীদের ঋণ প্রদান করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে ব্যবধান গড়ে দিতে পারে কভিড-১৯। এ মহামারী নিয়ে শুরু থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গোয়ার্তুমি বহু আমেরিকানকে ক্ষুব্ধ করেছে। তিনি সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শকে পাত্তাই দেননি এবং নিজে মাস্ক পরারও বিপক্ষে ছিলেন। যদিও সম্প্রতি একদিন মাস্ক পরেছেন এবং জনগনকে এটি পরতে বলেছেন। যদিও বলেছেন, তিনি জনগনকে এটি করতে নির্দেশ দেবেন না। এছাড়া হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, ভ্যাকসিন কিংবা মহামারী নিয়ে একের পর বেসামাল কথা বলে সমালোচিত হন তিনি। প্রেসিডেন্টের এই দুর্বলতাগুলোই আসন্ন নির্বাচনে জো বাইডেনকে শক্ত অবস্থান তৈরি করে দিচ্ছে।