সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর বলিউডে এখন আলোচনা কিংবা বিতর্কের মূল বিষয় নেপোটিজম বা স্বজনপোষণ। পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিনিয়তই আসছে নানা মন্তব্য। এবার তাতে যোগ দিয়েছেন সুস্মিতা সেন।
নেপোটিজম ভারতীয় সংবাদ সংস্থার কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। সুস্মিতার কথায়, ‘বহিরাগতদের সুযোগ দেয়া নিয়ে যে লড়াইটা শুরু হয়েছে, তা কিন্তু মোটেই নতুন নয়! এখন হয়তো সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে বিষয়টি নিয়ে এত প্রচার, কিন্তু নেপোটিজম বিষয়টি দীর্ঘদিন আগে থেকেই বলিউডে চলে আসছে। আর তাই আমি বলব, এ স্বজনপোষণ বিষয়টিকে যদি গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে হয়, তাহলে সবাইকে একজোট হয়ে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে।’
শুধু সিনেমার তারকারাই নন, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির মাফিয়াদের নিয়েও সম্প্রতি মুখ খুলেছেন সোনু নিগম, আদনান সামি, মোনালি ঠাকুরের মতো খ্যাতনামা শিল্পীরা। এবার সেই প্রশ্নই সুস্মিতা সেনের দিকে ছুড়ে দিয়েছিলেন এক ভক্ত, ‘আপনাকেও কি নেপোটিজমের শিকার হতে হয়েছিল?’ সেই প্রশ্নের জবাবেই মুখ খুলেছেন এ অভিনেত্রী।
সুস্মিতা বলেছেন, ‘আপনাদের মতো দর্শকদের জন্যই লড়াই করার শক্তি পেয়েছি। আপনারা যতদিন আমাকে পর্দায় দেখতে চাইবেন, ততদিন কাজ চালিয়ে যাব।’
ক্যারিয়ারে হিট, সুপারহিট ছবির সংখ্যা গুনতে রাজি নন সুস্মিতা সেন। সুস্মিতার কথায়, তার ছবিগুলো যখন সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল, সেগুলো বক্স অফিসে মোটেই সে রকম ছাপ ফেলতে পারেনি। কিন্তু পরে সেই ছবিগুলোই যখন টেলিভিশনে এসেছে, দর্শক দেখেছে। তার কথায়, আমি নিজে কিন্তু ব্যর্থ হইনি। ব্যর্থ হয়েছে আমার প্রচেষ্টাগুলো। মানুষ এ তফাতটা বুঝতেই ভুল করে।
২০০০ সালের একেবারে গোড়ার দিকে বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন সুস্মিতা। ‘আঁখে’, ‘সময়’, ‘ফিলহাল’, ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিউ কিয়া’র মতো বেশকিছু ছবি করে বিরতি নিয়েছিলেন দুই মেয়েকে লালন-পালন করার জন্য। সম্প্রতি স্ট্রিমিং সাইটে ‘আর্যা’র হাত ধরে অনেক দিন পর তাকে পর্দায় দেখা যাচ্ছে।