ফেরার ম্যাচে হারতে বসেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শেষের দিকের পেনাল্টি গোলে টটেনহ্যামের বিপক্ষে স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ওলে গানার সুলশারের দল। পুনরায় শুরুর হওয়া ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে শুক্রবার রাতে প্রথমবার মাঠে নেমেছিল দু’দল। টটেনহ্যাম স্টেডিয়ামে ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচটি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত রইল রেড ডেভিলরা। অন্যদিকে টানা ৭ ম্যাচ জয়হীন থাকল হোসে মরিনহোর দল।
করোনা ভাইরাসের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর দুই দলই প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেছিল। খেলাতেও তাই প্রথম মিনিট বিশেক কিছুটা জড়তা কাজ করছিল দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝেই। টটেনহ্যামের বিপক্ষে শেষ ৩ ম্যাচ জেতা ইউনাইটেড একটু বেশিই রয়েসয়ে এগুচ্ছিল।
সেই সুযোগে ইউনাইটেডের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করে স্পাররা।
ম্যাচের ২৭তম মিনিটে টটেনহ্যাম গোলরক্ষক হুগো লরিসের লং বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ ইউনাইটেড ডিফেন্ডার লুক শ বল পাঠিয়ে দেন প্রতিপক্ষ মিডফিল্ডার মুসা সিসোকোর কাছে। সময়ক্ষেপন না করে হেডে সেই বল সামনে এগুতে থাকা বার্গওয়াইনের দিকে বাড়ান তিনি। এরপর ইউনাইটেডের রক্ষণকে বোকা বানিয়ে বক্সের দিকে তরুণ ডাচ উইঙ্গারের ভোঁ দৌড়। ইউনাইটেড ডিফেন্ডার হ্যারি মিগুয়ের এবং ভিক্টর লিন্ডেলফদের দর্শক বানিয়ে এরপর বার্গওয়াইন ডান পায়ে জোরালো শট নেন গোলমুখে। গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়ার শরীর বরাবর বল থাকলেও বলের অত্যধিক গতির কারণেই তার হাত গলে বল চলে যায় জালে।
সমতায় ফিরতে মরিয়া ইউনাইটেড কোচ ওলে গানার সুলশার ৬২ মিনিটের মাথায় জোড়া বদলি হিসেবে মাঠে নামান পল পগবা ও টিনএজ তারকা ম্যাসন গ্রিনউডকে। দলটির আক্রমণের ধারও বাড়ে। ইনজুরি কাটিয়ে দীর্ঘ ৬ মাস পর মাঠে ফিরে ম্যানউইয়ের স্বস্তির ড্রয়ে অবদান আছে পগবার। ৮১ মিনিটে ডি-বক্সে পগবাকে এরিক দিয়ের ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিকে গোল করে ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আরও একটি পেনাল্টি প্রায় পেয়েই গিয়েছিল ইউনাইটেড। বক্সের ভেতর ফার্নান্দেজকে এরিক দিয়ের ফাউল করায় আবারও স্পট কিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি জোনাথান মস। তবে ভিএআর সেই চ্যালেঞ্জে অমূলক কিছু না পেয়ে মাঠের রেফারির সিদ্ধান্ত বদলে দেয়। আর ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জনের মোক্ষম সুযোগটি হাতছাড়া হয় ইউনাইটেডের।
৩০ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ইউনাইটেড। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে হোসে মরিনহোর টটেনহ্যাম। ২৯ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৬০। লেস্টার সিটি (৫৩), চেলসি (৪৮) যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে।