নিজেদের নিয়েই ভাবনা ‘উড়ন্ত’ রিয়ালের

ভ্যালেন্সিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার ওপর চাপটা অব্যাহত রেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিদান বলেন- বার্সেলোনা নয়, নিজেদের নিয়েই ভাবছে রিয়াল। এদিন আলফ্রেডো ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করেন করিম বেনজেমা। অন্য গোলটি ইনজুরি থেকে ফেরা মার্কো অ্যাসেনসিও’র। স্প্যানিশ এই ফরোয়ার্ডের অবশ্য এই মৌসুমে মাঠেই নামার কথা ছিল না। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে অ্যাসেনসিওর মাঠে ফেরাটা হলো দুর্দান্ত। প্রথম স্পর্শেই করলেন গোল। বেনজেমার একটি গোলে রাখলেন অবদান।

গত মঙ্গলবার লেগানেসকে ২-০ গোলে হারানো বার্সেলোনা ২৯ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। দুইয়ে থাকা রিয়ালের সংগ্রহ ৬২ পয়েন্ট। লা লিগা জিততে রিয়াল মাদ্রিদের বাকি ৯ ম্যাচ জিতলেই হবে না, প্রার্থনা করতে হবে বার্সেলোনার পরাজয়ের। তবে জিনেদিন জিদান বলেন, ‘লীগের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত পয়েন্টের এই খেলা চলতেই থাকবে। আমি ছেলেদের পারফরমেন্সে খুশি। আমি যেভাবে চেয়েছি সেভাবেই তারা মাঠে পারফর্ম করেছে। বার্সেলোনা হারল না জিতল এসব ভেবে লাভ নেই। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা কেমন পারফরম্যান্স করতে পারব সেটার ওপর সব কিছু নির্ভর করবে। ভাবনাটা তাই নিজেদের নিয়েই।’
করিম বেনজেমা বরাবরই খেলছিলেন ভালো, কিন্তু গোল পাচ্ছিলেন না তেমন। আগের ১২ ম্যাচে যেমন তার গোল ছিল মাত্র দুটি। গোলখরা কাটালেন ভ্যালেন্সিয়ার জালে দুইবার লক্ষ্যভেদ করে। জোড়া গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় পঞ্চম স্থানে উঠে এলেন করিম বেনজেমা। মাদ্রিদের দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে ৩২ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের গোল ২৪৩টি। ফরাসি এই স্ট্রাইকার ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তির স্ট্রাইকার ফ্রাঙ্ক পুসকাসকে। পুসকাস অবশ্য গোলগুলো করেছিলেন মাত্র ২৬২ ম্যাচে। তাকে ছাড়াতে বেনজেমার লাগল প্রায় দিগুণ ম্যাচ, ৫০৩টি। ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত রিয়ালের জার্সিতে ২৪২ গোল করেন হাঙ্গেরিয়ান ফরোয়ার্ড পুসকাস। ৪৫০ গোল নিয়ে সবার ওপরে আছেন ২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেয়া ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরের তিন স্থানে রয়েছেন রাউল গঞ্জালেস (৩২৩), আলফ্রেডো ডি স্টেফানো (৩০৮) ও সান্তিয়ানা (২৯০)।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *