প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য নগদ সহায়তা দাবি

কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বেশ বিপাকে রয়েছেন। এ মুহূর্তে গ্রামীণ কৃষকদের নগদ অর্থের প্রয়োজন। বাজেটে প্রত্যেক কৃষককে ২ হাজার করে নগদ সহায়তা বরাদ্দ দিতে পারলে আগামী মৌসুমে চাষাবাদ এবং কৃষকদের জীবিকায়ন সুরক্ষায় কাজে লাগত। এছাড়া কৃষি খাতে প্রণোদনা, পুনঃঅর্থায়ন ও যান্ত্রিকীকরণের বেশির ভাগ সুবিধা যাবে মাঝারি ও বড় কৃষকের হাতে। এতে বঞ্চিত হবেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। গত শনিবার বাংলাদেশ খাদ্যনিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) আয়োজিত ‘জনপর্যালোচনা: কৃষি-বাজেট ২০২১’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

খানি বাংলাদেশের সভাপতি ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিতে এ ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আলোচক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত কৃষি অর্থনীতিবিদ ও ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য ড. জাহাঙ্গীর আলম খান এবং প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য বিষয়ক গবেষক পাভেল পার্থ। আলোচনায় অংশ নেন গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোস্তফা ও খানির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম মাসুদ। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খানির অ্যাডভোকেসি সমন্বয়কারী সালমা আহমেদ।

করোনা দুর্যোগের ফলে জীবন-জীবিকা পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসনে প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে ‘বিশেষ মনোযোগ’ প্রত্যাশা থাকলেও বাজেট বরাদ্দের দিক থেকে পূরণ হয়নি বলেই মনে করছে খানি বাংলাদেশ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ বাজেটে করোনা সৃষ্ট ক্ষতি ও জীবিকায়ন সুরক্ষা, ভেঙে যাওয়া কৃষিবিপণন ব্যবস্থা পুনর্গঠনে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা যেমন নেই, তেমনিভাবে অর্থ বরাদ্দের দিক থেকেও বাজেটের গড় প্রবৃদ্ধির তুলনায় কৃষি ও তত্সংশ্লিষ্ট খাতে বরাদ্দ কমেছে।

বক্তারা বলেন, নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষকদের জন্য ঋণসহায়তা ঘোষণা করা হলেও জমির কাগজ, লোন ট্রাক-রেকর্ড না থাকা ইত্যাদি কারণে বর্গাচাষী ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কৃষিকাজ করেন—এমন কৃষকরা কোনো সহায়তা পাবেন না। প্রতি বছর পুরুষ পেশা পরিবর্তন করছে, ফলে দেশের কৃষি সম্পূর্ণভাবে নারীকেন্দ্রিক হচ্ছে। এ অবস্থায় কৃষিতে নারীর স্বীকৃতি প্রয়োজন, সরকারের জন পরিষেবাগুলোয় নারী কৃষকদের অভিগম্যতা বাড়ানো প্রয়োজন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *