একাদশ সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি হচ্ছে আজ। ২০১৮ সালের এই দিনের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে টানা তৃতীয়বারের মতো বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। দিনটি ঘিরে করোনা মহামারীর মধ্যেও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে রাজনীতির মাঠ। আজ পৃথক কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠে থাকবে দল দুটি।
আওয়ামী লীগ বলছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণরায় দেয়। স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী, ১৫ আগস্ট, জেলহত্যা ও ২১ আগস্টের খুনি এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে দেশের জনগণ।
তারা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের আস্ফাালন আর সহিংস রাজনীতির অন্ধকার ছায়া কাটিয়ে গণতন্ত্রের নবতর অভিযাত্রায় অগ্রসর হয় বাংলাদেশ। তাই দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস হিসেবে পালন করেন তারা। আর তাই সারা দেশব্যাপী স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
গণতন্ত্রের বিজয় দিবস উপলক্ষে দুটি স্থানে পৃথক কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। বেলা ১১টায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন ওবায়দুল কাদের। বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আলোচনা সভার আয়োজন করবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
বিএনপি দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ঢাকাসহ দেশের সব মহানগর ও জেলা শহরগুলোয় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করবে দলটি। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর যৌথভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেলা ১১টায় সমাবেশ করবে। এদিন বিএনপি নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন। কেন্দ্রীয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়গুলোয় উত্তোলন করা হবে কালো পতাকা। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোনো ফাঁদে পা না দিতে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।