অভিযুক্তদের হাজিরা ছাড়াই মাদক মামলার বিচার কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও উচ্চ আদালতের পরামর্শ নিতে বলছে কমিটি। গতকাল সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে এ প্রস্তাব দেয়া হয়।
সভাপতি শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, মো. হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ ও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ অংশ নেন।
মাদক ব্যবসায়ীরা জামিন পেয়ে আবারো মাদক ব্যবসা শুরু করে। এ অবস্থার উত্তরণে তাদের জামিন না দেয়ার বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা ওঠে। বৈঠকে মাদক মামলায় আটকরা জামিনে মুক্তি পেয়ে পুনরায় যাতে মাদক ব্যবসা বা সরবরাহ করতে না পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করে। বৈঠক শেষে শামসুল হক টুকু জানান, জামিন দিলে তো কিছু করার নেই। এক্ষেত্রে তদন্ত সঠিকভাবে করে যে অপরাধ সেই অনুযায়ী অভিযোগ দাখিল হয়। সাক্ষীপ্রমাণগুলো যাতে যথাযথ হয় এবং দ্রুত যাতে বিচার শেষ হয় সেই বিষয়ে কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
মাদক মামলায় বন্দিদের হাজিরা ছাড়া বিচারকাজ পরিচালনার প্রস্তাবের বিষয়ে সভাপতি বলেন, যারা মাদকের মামলায় কারাবন্দি আসামি, তাদের বারবার কোর্টে হাজিরা নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, সেখানে মাদকের লেনদেনের সুযোগ থাকে। এটা যাতে না হয় সেজন্য হাজিরা বন্ধ রেখে বিচারকাজ পরিচালনায় কমিটি প্রস্তাব দিয়েছে। এটি সম্ভব কিনা তা আইন মন্ত্রণালয় ও উচ্চতর আদালতের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
ডোপটেস্ট বিধিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পথে জানিয়ে সভাপতি বলেন, মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডোপ টেস্ট বিধিমালায় গণপরিবহনের চালকসহ সব স্তরের শ্রমিকদের ডোপটেস্টের আওতায় আনা হচ্ছে।