পাকুন্দিয়ায় ‘রঙিন বাঁধাকপি’র চাষ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন জাতের বাঁধা কপির চাষ হয়েছে। উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের চরদেওকান্দি গ্রামের ওমর আলী নামের এক কৃষক তার পাঁচ শতক জমিতে এ সবজির চাষ করেছেন। এতে প্রথমবারেই তিনি সফল হয়েছেন। দেখতে সুন্দর। ভেতরে টুকটুকে লাল ও স্বাদে কিছুটা মিষ্টি হওয়ায় এর চাহিদা বেশ। জানা গেছে, উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেনের পরামর্শে ওই কৃষক তার পাঁচ শতক জমিতে প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ করেন। গত বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে তিনি এর চাষ শুরু করেন। ৭০-৭৫ দিনে কপিগুলো পরিপক্ব হয়ে বিক্রয়ের উপযোগী হয়।
এ জাতের কপি দেখতে সুন্দর। হালকা মিষ্টি। সালাদ হিসেবেও খাওয়ার উপযোগী। পুষ্টিমানও অধিক। অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন হয় না। স্বাভাবিক পরিবেশে কয়েকদিন সংরক্ষণ করা যায়। বাজারে ও লোকজনের কাছে রঙিন বাঁধাকপির চাহিদা অনেক বেশি। তাই উৎসুক লোকজন সাধারণ কপির চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দরে রঙিন জাতের কপি কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। স্থানীয় কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষাবাদে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। কৃষক ওমর আলী বলেন, ‘প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। পাঁচ শতক জমিতে প্রায় ২৫০-২৭০টি কপি হয়েছে। বাজারে প্রতিটি কপি ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। যা সাধারণ কপির চেয়ে অনেক বেশি। লোকজন রঙিন জাতের কপি কিনতে বেশ আগ্রহী। অল্প টাকা খরচ করে আমি বেশ লাভ পেয়েছি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে এ জাতের কপির চাষ করবো।’ এগারসিন্দুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ‘উপজেলায় প্রথমবারের মতো রঙিন বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। প্রথমবার চাষ করেই সফলতা পেয়েছেন এক কৃষক। অন্যান্য কৃষকরাও এ জাতের কপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ জাতের কপির বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় আগামীতে এ উপজেলায় এর চাষ বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *