ডিজনির শেয়ার এখন তাদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ মূল্যে পৌঁছেছে। তাদের স্ট্রিমিং সাবস্ক্রাইবার এখন ১৪ কোটি ৬০ লাখ। ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকরা এ খবরে নড়েচড়ে বসেছেন। ডিজনির এ সাফল্য বিশ্লেষকদের মধ্যে মিশ্র মতামত সৃষ্টি করেছে। অনেকে মনে করছেন, ডিজনির স্ট্রিমিং ভেঞ্চারকে এখন নেটফ্লিক্সের সঙ্গে তুলনা করার সময় এসে গেছে।
ডিজনি তাদের স্ট্রিমিং ব্যবসার সর্বশেষ যে প্রতিবেদন হাজির করেছে তাতে তার বিনিয়োগকারীরা খুশি। এ বছর ডিজনির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
গাগেনহেম সিকিউরিটিজের মাইকেল মরিসের মতে, ডিজনি তাদের থিম পার্কগুলোতে ব্যয় বৃদ্ধি এবং ডিজিটাল সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।
ওয়েলস ফার্গোর বিশ্লেষক স্টিভেন কাহল মনে করেন, করোনাভাইরাসের মহামারীতে বিনিয়োগকারীরা তাদের মনোযোগ দিয়েছেন স্ট্রিমিং বাণিজ্যের দিকে। তিনি বলেন, ডিজনি এ বছর ৩০ কোটি সাবস্ক্রাইবার সংগ্রহের দিকে এগোবে। আর স্ট্রিমিংয়ের মুনাফা কোম্পানির বড় আয়ের অংশ হয়ে উঠবে। তবে এখনো স্ট্রিমিং বাণিজ্যে মুনাফার পরিমাণ বেশি নয়, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতিও হচ্ছে। ডিজনির ক্ষেত্রে ২০২৪ সালে গিয়ে স্ট্রিমিং বাণিজ্য বড় মুনাফা নিয়ে আসতে শুরু করবে। কাহল বলেছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দুই-তিন বছরের মধ্যে ডিজনি দুনিয়ার সবচেয়ে বড় স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে পরিণত হবে—সাবস্ক্রাইবার ও কনটেন্টের নিরিখে।
বিশ্লেষক টড ওয়েঙ্গার বলেন, তারা না চাইলেও এখন নেটফ্লিক্স ও ডিজনি প্লাসের মধ্যে তুলনা চলে আসছে এবং এটা এড়ানোর কোনো উপায় নেই বলেও তিনি মনে করেন। তার মতে, বাজারে এখন ডিজনিকে নেটফ্লিক্সের চেয়ে বেশি মূল্যবান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা ও সাবস্ক্রাইবারপ্রতি মুনাফায় নেটফ্লিক্সকে ধরতে ডিজনির এখনো অনেক সময় লাগবে।