দীঘির কড়া জবাব

চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবেই তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। তিনবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরইমধ্যে সেই ছোট দীঘি নায়িকা হিসেবেও যাত্রা করেছেন। শুরুটা হয় শাপলা মিডিয়ার ব্যানারে শামীম আহমেদ রনির পরিচালনায় ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে আরো পাঁচটি সিনেমার কথা ছিল দীঘির। তবে সেই সিনেমাগুলো থেকে বাদ পড়েছেন তিনি, সিনেমাপাড়ায় এমন খবরই চাউর হয়েছে। এ ব্যাপারে দীঘির সঙ্গে কথা হলে তিনি কড়া জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, শাপলা মিডিয়ার একটা সিনেমাতেই আমি চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম।
শুটিংও করেছি। বাকি যে সিনেমাগুলোর কথা বলা হচ্ছে সেগুলো মৌখিকভাবে কথা হয়েছে। কাগজে-কলমে যার কোনো ভিত্তি নেই। চুক্তি না হলে সিনেমা থেকে বাদ পড়লাম কীভাবে, জানি না আমি! যাই হোক এ ব্যাপারে চিন্তা করার সময় পাচ্ছি না। এখন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকের মধ্যে ডুবে আছি। সপ্তাহ খানের বেশি সময় ধরে মুম্বইতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক ‘বঙ্গবন্ধু’র শুটিং করছেন দীঘি। এ চলচ্চিত্রে বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেছা রেণু অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী। চলচ্চিত্রটিতে তাকে কৈশোরের ‘রেণু’র ভূমিকায় দেখা যাবে। দীঘি জানালেন, ‘বঙ্গবন্ধু’-র কাজে কোনো ছাড় দিচ্ছেন না। পুরো মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন এবং অভিজ্ঞতার ঝুলিতে প্রতিনিয়তই নতুন কিছু যুক্ত হচ্ছে। এতো বড় ক্যানভাসের একটি সিনেমায় কাজ করাটা সত্যিই সৌভাগ্যের বিষয়। সিনেমাটি তার ক্যারিয়ারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও উল্লেখ করেন দীঘি। ২২শে জানুয়ারি মুম্বই গিয়েছেন দীঘি। ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে চিত্রায়ণ চলবে তার। তারপর ফিরবেন দেশে, মার্চের শেষে আবার যাবেন মুম্বই। এরপরই শেষ হবে বায়োপিকে দীঘির অংশে কাজ। উল্লেখ্য, ‘চাচ্চু’, ‘দাদী মা’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম’র মতো হিট ছবিতে অভিনয় করে চলচ্চিত্রে দর্শকদের মন জয় করে ছোটকালেই তারকা বনে যান দীঘি। সে সময় টানা ৩৬টি চলচ্চিত্রে তিনি অভিনয় করেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *