দামের ওপর নির্ভর করে চাল আমদানির পরিমাণ নির্ধারণ হবে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকারি মজুদ ঠিক রাখতে সরকার ইতোমধ্যে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কখন চাল আমদানি করা হবে, সেটা নির্ভর করছে বাজারদর ও মজুদ পরিস্থিতির ওপর। চলতি আমন মৌসুমে দেশের মিলাররা (চালকল মালিক) সরকারি গুদামে চাল দিতে ব্যর্থ হলে মজুদ ঠিক রাখতে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে। এতে কোনোভাবেই চাল আমদানির সুযোগ পাবেন না মিলাররা।

গতকাল দুপুরে খাদ্যমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় আমন ধান সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মৌসুমের শুরুতে অনেকে সিন্ডিকেট করে কম দামে ধান কিনে কৃষকদের ঠকায়। এজন্য সরকারিভাবে দর বেঁধে দিয়ে সংগ্রহ করা হয়। এবার নতুন আমন ধানে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক। বাজারদর ও মজুদ পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। গত বোরো মৌসুমে চুক্তি করেও অনেক মিল মালিক সরকারি গুদামে চাল দেননি। তবে সরকারি গুদামে চালের মজুদে তেমন সংকট দেখা দেয়নি। কৃষকরা যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পান, সেই স্বার্থ দেখতে গিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করেনি সরকার। মিলারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি আমন মৌসুমে সরকারি গুদামে চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে চালের দাম কেজিপ্রতি ১ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এর পরও মিলাররা সরকারকে চাল দিতে ব্যর্থ হলে মজুদ ঠিক রাখতে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে। তবে আমদানির সুযোগ পাবেন না মিলাররা। সরকার প্রয়োজনমাফিক চাল আমদানি করবে।

মন্ত্রী বলেছেন, চালকল মালিকরা তাদের লাইসেন্স বাঁচাতে চুক্তি করবে এবং গুদামে চাল দেবে। তার পরও যদি দেখা যায় সংগ্রহ হচ্ছে না, সরকার নিজেই প্রয়োজন মাফিক চাল আমদানি করবে। এরই মধ্যে আমদানির উদ্দেশে টেন্ডার দেয়া শুরু হয়েছে। সরকারকে বিব্রত বা দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে কোনো সুযোগ দেয়া হবে না।

খাদ্যমন্ত্রী আরো বলেন, মৌসুমের শুরুতে অনেকে সিন্ডিকেট করে কম দামে ধান কিনে কৃষকদের ঠকায়। এজন্য সরকারিভাবে দর বেঁধে দিয়ে সংগ্রহ করা হয়। এবার নতুন আমন ধানের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বাজারদর ও মজুদ পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ধান সংগ্রহ করবে সরকার।

এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, সাপাহার উপজেলা চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী মন্ডল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শামসুল আলম শাহ চৌধুরী এবং থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি মৌসুমে সরকারিভাবে মিলারদের কাছ থেকে ছয় লাখ টন চাল ও কৃষকদের কাছ থেকে দুই লাখ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

পরে খাদ্যমন্ত্রী সাপাহার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ছয়তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *