থালা-বাসনে প্রেম : ১০ হাজার চীনামাটির বাসনে ঢাকা বাড়ি!

নিজেদের বাড়ির শোভা বৃদ্ধিতে আজকাল আমরা নানা কারুকার্য করে বাড়িতে। কিন্তু তাই বলে বাসন দিয়ে নিশ্চয় ঢাকবো না সেই বাড়ি। এই ব্যক্তি সেটাই করেছেন। এতে লোকে যেমন অবাক হয়েছে তেমনই প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। বিভিন্ন আকার, রঙের বহু মূল্যবান বাসনপত্রের সমারোহ ঘটেছে তার বাড়ির দেওয়ালে গত ২৫ বছর ধরে। আবার সব বাসনই নাকি চিনামাটির। সত্যি, কতই না বিচিত্র এই পৃথিবী আর পৃথিবীর মানুষজন। কিন্তু কেন এমন অদ্ভুত শখ তার?

চীনামাটির অ্যান্টিক বাসন ভ্যান ত্রুং বরাবর ভালোবাসতেন। সেনাবাহিনীর কাজ ছেড়ে নিজের গ্রাম কিয়েয়ু সনে ফেরার পর তার এই ভালোবাসা আরও গভীর হয়ে দেখা দিলো। কিছুদিন কাজ করলেন রাজমিস্ত্রি হিসেবে। সেখানেই অ্যান্টিক ফার্নিচার রঙ করার সুযোগ পেয়ে তিনি প্রেমে পড়লেন এগুলির। এরপর সেই থেকে এখনো প্রায় ১০ হাজার চীনামাটির বাসন রয়েছে তার সংগ্রহে। তার এই নেশা এতো বেড়ে যায় যে আস্তে আস্তে আর্থিক সঞ্চয় ফুরাতে থাকে। ফলে পরিবার অসন্তুষ্ট হয় কারণ তিনি বিদেশ ঘুরে বেড়াতেন আর চেনা লোকেদের কাছে ধার করতে থাকেন। তবে প্রথম থেকেই তিনি সাজানোর কথা ভাবেননি। তিনি ওগুলি বিক্রি করে টাকা সঞ্চয়ের কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু সেগুলির আকৃতি, আকার, রঙ সব তাকে এতই আকৃষ্ট করে যে নিজের কাজ ছেড়ে ওগুলি সংরক্ষণে ঝুঁকে পড়েন।

তার চিন্তা ছিল যে যেহেতু তার এই কাজ পরিবারের ভালো লাগতো না তাই হয়তো তার মৃত্যুর পর ওগুলো হারিয়ে যাবে বা চুরিও হতে পারে। তাই সেগুলোকে সুরক্ষিত রাখার জন্যেই তিনি দেওয়াল ভর্তি করে সুন্দরকরে বাড়ি সাজাতে শুরু করেন। পরীক্ষার আকারে এটা শুরু করলেও এখন এটাই তার নেশা। সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকের কিছু অ্যান্টিক জিনিসও তিনি ঘুরে ঘুরে খুঁজে বের করেন। এর মাধ্যমে আবার তিনি তার পূর্বপুরুষের স্মৃতিও রেখেছেন উজ্জ্বল। তবে এতো বিপুল খরচ নিয়ে তিনি কোনোদিন ভাবেননি। তবে তার এই নেশা দীর্ঘজীবী হোক এটাই সবাই চাইবো।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *