তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই, দেশটির সকল সম্প্রদায়ের জনগণ নতুন এক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রয়েছে। তবে দেশটির উইঘুর সম্প্রদায়ের অধিবাসীরা আরো বেশি খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন। দেশটিতে চীনের প্রভাব বেড়ে গেলে তাদের উইঘুর নীতির কারণে আফগান উইঘুর সম্প্রদায় আরো বিপদে পড়বে। বিবিসি
[৩] আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য অপসারণের পর সৃষ্টি হওয়া শূন্যস্থান পূরণ করতে চীন শীঘ্রই অঞ্চলটিতে প্রবেশ করবে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পরবর্তীতে আফগানিস্তানের উইঘুর সম্প্রদায়, চীনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
[৪] বর্তমানে কাবুলে অবস্থানকারী উইঘুর সম্প্রদায়ের এক অধিবাসী বিবিসিকে জানিয়েছে, তালিবান সদস্যরা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে চীনের সাহায্য নিতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি। অথবা তালেবান সৈন্যরা আমাদের গ্রেপ্তার করে চীনের হাতে তুলে দিতে পারে।
[৫] বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারা আরো জানিয়েছে, তালিবান সৈন্যরা আফগানিস্তান দখলের পর থেকে নিজেদের ঘর ছেড়ে বের হতে পারছে তারা।
[৬] চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জিন জিয়াং প্রদেশে বর্তমানে প্রায় ১২ মিলিয়ন উইঘুর বাস করছে। ২০১৭ সাল থেকেই চীন সরকারের বিরুদ্ধে উইঘুর সম্প্রদায় ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর গণআটক, জোরপূর্বক গর্ভপাত,নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রম ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। তবে চীন,বরাবরের মতোই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।