যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানের ২১ শতাংশ শীর্ষ পদ নারীদের দখলে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডয়েচে ব্যাংক এজি। পাশাপাশি কৃষ্ণাঙ্গরা আছেন ৫ শতাংশ উচ্চপদে। প্রথমবারের মতো এসব তথ্য প্রকাশ করল জার্মানির বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ডয়েচে ব্যাংকের নারী কর্মীর সংখ্যা ৩৭ শতাংশ ও কৃষ্ণাঙ্গের সংখ্যা ৮ শতাংশ। জ্যেষ্ঠ ও নেতৃত্বের পর্যায়ে কোনো এশিয়ান বা লাতিন নাগরিক নেই। তবে ব্যাংকটিতে এশিয়ান জনবলের সংখ্যা ২৮ শতাংশ ও লাতিনদের সংখ্যা ৯ শতাংশের কিছু বেশি।
এক বিবৃতিতে ডয়েচে ব্যাংক জানিয়েছে, প্রতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রের ইকুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশনে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হয়। সেখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েই নারী-পুরুষ, এশিয়ান, লাতিন বা কৃষ্ণাঙ্গ কর্মীদের সংখ্যা প্রকাশের পরিকল্পনা করে সংস্থাটি। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠানটির ঠিক কতজন কর্মী কাজ করেন, সঠিক সে সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। কেবল শতাংশের হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ ইনকরপোরেশনসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান এখন জাতি, লিঙ্গ ও বর্ণভেদে কী পরিমাণ কর্মী কাজ করেন, তার সংখ্যা প্রকাশ করতে শুরু করেছে। বেশির ভাগ বড় আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এ ভাবনায় ব্যস্ত যে কীভাবে তারা জাতিগত সংকটের বিষয়গুলো মোকাবেলা করবেন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে কীভাবে নিরপেক্ষ থেকে কর্মী নিয়োগ দেয়া যায় বা সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা যায়, সে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।
ডয়েচে ব্যাংক বলছে, গত বছর জাতিগত বৈচিত্র্য উৎসাহ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে কারণে নিয়োগ পদ্ধতির পরিবর্তনসহ বেশকিছু নীতিগত সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে হয়। এর মধ্যে ছিল ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পরিচালক ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া।