টি-টোয়েন্টি সিরিজও বাঁচাতে পারলো না বাংলাদেশ

প্রথমে লক্ষ্য ছিল ১৬ ওভারে ১৪৮ রান। হাতের নাগালেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু সেই লক্ষ্যই বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামার ১.৩ ওভার পর ১৭০ হয়ে যায়। আর বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৬ ওভারে ১৪২ রানে। নেপিয়ারে বিতর্ক জন্ম দেওয়ার ম্যাচটিতে সৌম্য সরকারের ২৫ বলে বিস্ফোরক হাফ সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশ হেরেছে ২৮ রানে। ওয়ানডের ধবলধোলাইয়ের পর তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৬৬ রানের বড় ব্যবধানে হার নিয়ে বাংলাদেশ শুরু করেছে টি- টোয়েন্টি সিরিজ। এরপরও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ চাইলে জয় সম্ভব। গতকাল নেপিয়ারে সেই সুযোগও এসেছিল টাইগারদের হাতে।
কিন্ত মাঠের পারফরম্যান্সের সঙ্গে ভগ্য যেন সাহায্য করছেনা টাইগারদের। আকাশে মেঘ দেখে টাইগারদের অধিনায়ক টসে জিতে হাতে বল তুলে নেয়। বৃষ্টির সহযোগিতা নেয়াই যেন ছিল তার উদ্দেশ্য। হলোও তাই। টাইগার বোলারও এদিন দারুণ শুরু করে। শুরুতেই ৫৫ রানে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় তাসকিন আহমেদ দলকে উপহার দেন প্রথম উইকেট। কিন্তু এই ম্যাচেও ফিল্ডাররা ব্যর্থতার ধারা অব্যহত রাখেন। তাসকিনকে ক্যাচ দেন অ্যালেন। অনেক উঁচুতে মুঠোয় তা তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন মাহমুদুল্লাহ। তবে চড়া মাশুল দিতে হয়নি। ওভারের শেষ বলে আবার আকাশে তুলে দিয়ে স্কয়ার লেগে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ধরা পড়েন অ্যালেন (১৭)। এই সফরে ফিল্ডারের কারণে সবচেয়ে অভাগা বোলারের তাসকিন। হয়তো তাই জিদ ছিল মনে, যে জিদ থেকে তিনি সবাইকে দেখিয়ে দিবেল কিভাবে নিতে হয় ক্যাচ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে ব্যাট চালান গাপটিল। শর্ট ফাইন লেগে বাঁদিকে লাফিয়ে অবিশ্বাস্য ক্ষীপ্রতায় এক হাতে বল মুঠোবন্দি করেন এই পেসার। আগের ম্যাচে ৯২ করা কনওয়েল ব্যর্থ। শরিফুল ইসলামের বলে পুল করে ধরা পড়েন মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে। দলের ৯৪ রানের সময় মেহেদি হাসানের বল বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়ে ফিরেন উইল ইয়াং। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার পরে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে দ্রুত বিদায় করেন মার্ক চাপম্যানকে। কিন্তু সেখান থেকে নিউজিল্যান্ড ইনিংসে দুই দফায় বৃষ্টিতে বন্ধ হয়। তবুও সেই সময়ে ৫.৩ ওভার নিউজিল্যান্ড যোগ করেন ৭১ রান। প্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেলকে থামাতে পারেনি টাইগার বোলাররা। ৬ চারে ১৬ বলে ৩৪ রান করেন মিচেল। ৩১ বলে দুই ছক্কা ও পাঁচ চারে ৫৮ রান করেন ফিলিপস। মাত্র ২৭ বলে তারা গড়েন ৬২ রানের জুটি। দারুণ বোলিংয়ে ৩ ওভারে ১৬ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন শরিফুল। ৪ ওভারে কেবল ২৫ রান দেন নাসুম আহমেদ। খরচে ছিলেন বাকি তিন বোলার।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই লিটনকে হারালেও দলকে দারুণ ভাবে টেনে নেয় সৌম্য সরকার। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তৃতীয় ও বিদেশের মাটিতে প্রথম ফিফটি পান মাত্র ২৫ বলে। হাঁকান পাঁচটি চারও ৩টি ছয়ের মার। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রানের অবদান রাখেন তরুণ ওপেনার নাঈম। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নেন ২১ রান করে। শেষ দিকে ১২ রান করেন মেহেদী হাসান। বাকি চার ব্যাটসম্যান ছুঁতে পারেননি দুই অংক।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *