চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে তৃতীয় প্রান্তিকে বিক্রি বেড়েছে জাপানি গাড়ি নির্মাতা টয়োটা, নিশান ও হোন্ডার। যদিও গাড়ির অন্যতম উপাদান কম্পিউটার চিপের বিশ্বব্যাপী ঘাটতির কারণে তাদের আয় কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় হচ্ছে না। খবর রয়টার্স।
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে অধিকসংখ্যক মানুষ এখন ঘরেই বেশি সময় কাটাচ্ছে বলে ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্রের চাহিদাও বেড়ে গেছে। আইফোন, গ্যালাক্সি ট্যাব আর প্লেস্টেশনে অনেক বেশি সেমিকন্ডাক্টর টাইপের জিনিসের প্রয়োজন হয়। এর প্রভাব আবার পড়ছে গাড়ি নির্মাণ খাতে! বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্রের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে সেমিকন্ডাক্টরের ঘাটতি পড়ে যাচ্ছে, ফলে নির্মাতা কোম্পানিগুলো বাধ্য হয়েই উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে, যখন কিনা বিশ্বব্যাপী গাড়ির চাহিদা প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুতগতিতে বাড়ছে।
এছাড়া জাপানের সুবারু করপোরেশন ও মাজদা মোটর করপোরেশনও উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে, একই পথে হাঁটছে জার্মান অটোমোবাইল কোম্পানি ফক্সওয়াগন এজি।
আধুনিক গাড়ির অন্যতম অনুষঙ্গ এই কম্পিউটার চিপ, যার মধ্যে টাচ স্ক্রিন, নেভিগেশন সিস্টেম, ব্লুটুথসহ অনেক কিছু সংযুক্ত থাকে।
ম্যাককুয়ারি ক্যাপিটালের বিশ্লেষক জেমস হং বলেন, চিপের এই ঘাটতিটা আসলে জাপানি ও ইউরোপীয় গাড়ি নির্মাতাদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে, কেননা ঘাটতি পড়ছে মূলত সেমিকন্ডারক্টর আর ইনফাইনেওন।
তিনি মনে করিয়ে দেন, কোরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলো এখানে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে, কেননা তাদের চিপের মজুদ বেশ সংহত আর স্থানীয় পর্যায়ে সরবরাহও ভালো।
চিপ ঘাটতির এই সংকট আরো বাড়িয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য সাবেক ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তারা চীনে প্রযুক্তিগত জিনিসপত্র ট্রান্সফারে বিধিনিষেধ দেয়ায় চীনের চিপ কারখানাগুলোর ওপর প্রভাব পড়ে। এছাড়া জাপানি একটি চিপ তৈরির কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নভেল করোনাভাইরাসের সময় কার্যকর হওয়া লকডাউনও এখানে প্রভাব ফেলেছে।