বঙ্গবন্ধুর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কলকাতা —তথ্য প্রতিমন্ত্রী

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কলকাতা। তখনকার কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ, বর্তমানে মৌলানা আজাদ কলেজের ছাত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু। এ কলেজে পড়ার সময়ই বঙ্গবন্ধুর মনন গঠন এবং চেতনার বিকাশ ঘটে। বঙ্গবন্ধুর প্রগতিশীল মানসিকতা এবং স্বচ্ছ রাজনীতির হাতেখড়িও হয় এ কলেজে পড়ার সময়ই।

গতকাল সকালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেলে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন তিনি। তিনি আরো বলেন, কলকাতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু মহাত্মাগান্ধী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, জওহরলাল নেহরুর মতো মহান নেতাদের সংস্পর্শে থেকে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাজনীতির পাঠ নেন, যা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকে স্বদেশপ্রেম এবং স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করে।

তৃতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব-২০২১ উপলক্ষে তথ্য প্রতিমন্ত্রী এখন কলকাতা সফরে আছেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া তার সফরসঙ্গী।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের কঠিন দিনগুলোয় ভারত শুধু আমাদের আশ্রয়ই দেয়নি, বরং বহু ভারতীয় সৈন্য জীবন দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অবদান রেখেছেন। এ কারণে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রক্তের আখরে গড়া বলেও মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে গভীরভাবে স্মরণ করে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্দিরা গান্ধীর অবদান বাংলাদেশ চিরকাল মনে রাখবে। স্মরণ করছি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও দুই বাংলা তথা বাংলাদেশের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে। এছাড়া সেসব শিল্পী-সাহিত্যিকদের স্মরণ করছি, যারা আমাদের মাতৃভাষাকে সমৃদ্ধ করেছেন। আমি ৬ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেডে বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলতে চাই, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক চিরকাল অটুট ছিল আছে এবং থাকবে।

মহামারীর এই সময় ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশ ২০ লাখ টিকা উপহার পেয়েছে এবং এ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিন কোটি টিকা পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তথ্য সচিব খাজা মিয়া বলেন, দুই দেশের চলচ্চিত্র এখন যৌথভাবে কাজ করে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের অনেক শিল্পীকে পশ্চিম বাংলাও চিনতে পারছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *