চতুর্থ প্রান্তিকে ফ্রান্সের জিডিপি ২.৫-৬% সংকুচিত হতে পারে

চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক উৎপাদন ২ দশমিক ৫ থেকে ৬ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ইনসি এ পূর্বাভাস দিয়েছে। অবশ্য সংকোচনের এ হার অনেকটাই নির্ভর করবে কভিড-১৯ মহামারীর দ্বিতীয় প্রবাহ প্রতিরোধে যে আংশিক লকডাউন আরোপ করা হয়েছে, তার স্থায়িত্বের ওপর। আর পুরো বছরে ফরাসি অর্থনীতি ৯-১০ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে বলে জানিয়েছে ইনসি। খবর এএফপি।

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গত মাসের শেষের দিকে নতুন করে লকডাউন আরোপ করে ফরাসি সরকার। তবে এবারের লকডাউনের বিধিনিষেধ আগেরবারের মতো অতটা কঠোর নয়। এ কারণে ইনসি ধারণা করছে, অর্থনীতিতে এর প্রভাবও হবে আগেরবারের তুলনায় কিছুটা কম।

সংস্থাটি বলেছে, এপ্রিলে যদি অর্থনৈতিক কার্যক্রম মহামারীপূর্ব সময়ের চেয়ে ৩০ শতাংশ সংকুচিত হয়ে থাকে, তবে নভেম্বরে এ হার ১৩ শতাংশের আশেপাশে থাকবে বলে আশা করা যায়। তবে রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খাওয়া ও ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় চলতি মাসে এসব খাতের কার্যক্রমে ৬০ শতাংশ পতন দেখা যেতে পারে। আলোচ্য সময়ে বিনোদন খাতের কার্যক্রমে ৪০ শতাংশ সংকোচনের পূর্বাভাস জানিয়েছে ইনসি।

পরিস্থিতিতে উন্নতি হওয়া সাপেক্ষে আগামী ডিসেম্বরের শুরুর দিকেই লকডাউন তুলে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ফ্রান্সের। এমনটি হলে চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি সংকোচন ২ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যেই সীমিত থাকবে বলে আশা করছে ইনসি। আর যদি পুরো ডিসেম্বর লকডাউন চলে, তবে অর্থনৈতিক পতনের হার ৬ শতাংশে গিয়ে ঠেকতে পারে বলে মনে করছে তারা।

আর এর মাঝামাঝি পরিস্থিতিতে অর্থনীতির অবস্থা কেমন দাঁড়াবে? ইনসি বলছে, যদি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বেশির ভাগ বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে সামান্য কিছু বলবৎ রাখা হয়, তবে জিডিপির পতন দাঁড়াতে পারে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। আর এমনটি হলে ফরাসি অর্থনীতি করোনাপূর্ব সময়ের তুলনায় সংকুচিত হবে ৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বর শেষে এ হার ছিল ৪ শতাংশ।

ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ ক্যাসটেক্স বলেছেন, পরিস্থিতি ভালো হওয়া সাপেক্ষে নভেম্বরের শেষের দিকে ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরায় কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিতে পারে সরকার। আগামী সপ্তাহেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

অক্টোবরের শেষের দিক থেকেই ফ্রান্সে করোনা সংক্রমণ বাড়তির দিকে রয়েছে। ৭ নভেম্বর একদিনেই প্রায় ৮৭ হাজার কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় দেশটিতে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *