গোল শূন্য ড্র’তে ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গী নেপাল

গোলের দেখা মিলছে না কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের এ পর্যন্ত তিন ম্যাচে গোল হয়েছে মাত্র একটি। সে গোলটিও হয়েছে আত্মঘাতী। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আত্মঘাতী গোলে কিরগিজস্তানকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচে আর গোলের দেখা মেলেনি। কিরগিস্তান নেপাল ম্যাচ শেষ গোলশূন্যতে। বাংলাদেশ স্বাগতিক নেপালের ম্যাচের ফলাফলও একই, গোলশূন্য। আর এতেই কোন গোল না করেই ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গী নেপাল।

টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির প্রথম থেকেই জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে বলে আসছিলেন, এবার নতুনদের সুযোগ করে দিবেন জাতীয় দলে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে দল গোছানোই মূল ফোকাস রাখছেন এই ইংলিশ কোচ। এর আগে প্রথম ম্যাচে অভিষেক হয়েছে দুই ডিফেন্ডার রিমন হোসেন, হাবিবুর রহমান সোহাগ ও ফরোয়ার্ড মেহেদী হাসান রয়েলের। দ্বিতীয় ম্যাচেও মূল একাদশে সেই প্রতিফলন দেখা গেল। এই ম্যাচে দুই ডিফেন্ডারের অভিষেকের সঙ্গে আগের ম্যাচের শুরুর একাদশ পাল্টে ফেলেন জেমি। গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকোর জায়গায় দলে নেন শহিদুল আলম সোহেলকে। এদিন শুরু থেকেই নেতৃত্বদেন জামাল ভূঁইয়া। ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম সুযোগ পায় বিশ মিনিটে। আব্দুল্লাহ ও সুফিল দুইজন বক্সে নিজেদের দেয়া নেয়া করলেও বল জালে পাঠাতে পারেননি। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার দু’টো ফ্রি-কিক গোল হওয়ার মতো ছিল। ৩৫ মিনিটে বক্সের বাঁ পাশে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। জামালের নেয়া শট বক্সের মধ্যে জটলায় ঘিরে ডিফেন্ডার মেহ পায়ে পড়ে। মেহেদী গোলের সুযোগ মিস করেন। পাঁচ মিনিট পর বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পায় বাংলাদেশ। জামালের নেয়া সরাসরি শট পোস্টের সামান্য পাশ দিয়ে যায়। নেপালকে ফাইনাল খেলতে হলে হার এড়াতেই হবে। এজন্য নিজেদের ডিফেন্স আগলে খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। তাতেই ফল পেয়েছে তারা। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। এই স্কোরলাইনে শেষ হয় পুরো ম্যাচ। এতেই কিরগিজস্তানের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশের সঙ্গী হয় স্বাগতিক নেপাল। আগামীকাল বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল।
বাংলাদেশের মূল একাদশ
শহিদুল আলম সোহেল (গোলরক্ষক), মো. ইমন, ইয়াসিন আরাফাত, রিয়াদুল হাসান, মেহেদী হোসেন, জামাল ভূঁইয়া, মানিক মোল্লা, আব্দুল্লাহ, মাহবুবুর রহমান সুফিল, সুমন রেজা ও রাকিব হোসেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *