মাশরাফি-সাকিবের কথায় গুরুত্ব না দেয়ার অনুরোধ সুজনের

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক, আবাহনী, ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচ সহ নানা দায়িত্ব পালন করেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। মাঠের বাইরেও নানা কারণে বিশেষ করে ক্যাসিনো খেলতে চাওয়া নিয়েও তাকে ঘিরে বিতর্ক কম নয়। তবে এত কিছুর পরও তাকে দারুণ প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দেশের দুই সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। সুজনকে সাধুবাদ দিলেও জাতীয় দলের এই দুই তারকা ক্রিকেটার সমালোচনা করেছেন বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের। প্রশ্ন তুলেছেন নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ছাড়াও বোর্ডের পরিচালকদের কর্মকাণ্ড নিয়ে। গতকাল সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলে অবশ্য সুজন মাশরাফি-সাকিবের কথায় গুরুত্ব দিতে বারণ করেছেন। তিনি বলেন, শুধু বলতে চাই যে, বিব্রতকর তো একটু লাগবেই, স্বাভাবিক।
মাশরাফি বাংলাদেশ দলের আইকন, সফলতম অধিনায়ক, একজন লিজেন্ড। আমি বলবো- বাংলাদেশ দলকে একসময় খাদের কিনারা থেকে তুলে আনা। আর সাকিব তো বিশ্বসেরা। ওর কথা বলে শেষ হবে না। সবার মধ্যেই ভালোবাসা থাকে, ক্ষোভ থাকে, দুঃখও থাকে হয়তোবা। কোনো দুঃখ থেকে এ কথাগুলো আসছে কিনা আমি জানি না। বোর্ডের যারা আছেন সবাই চেষ্টা করেন। অনেক সময় সাকসেস আসে, অনেক সময় আসে না। এখন ওদের ব্যক্তিগত অভিমত মনে করি এটাকে আমি। এটাকে আমরা যতটা গুরুত্ব দিচ্ছি, ততটা দেয়ার কিছু নাই।’

শুধু তাই নয়, খালেদ মাহমুদ বিশ্বাস করেন সাকিব ও মাশরাফির বিষয়গুলো নিয়ে বিসিবিতে আলোচনা করেই সমাধান সম্ভব। তিনি বলেন, ‘খুবই সামান্য বিষয় এটা, যেটা আমরা বিসিবি ডিসকাশনের মাধ্যমে সঠিকভাবে ঠিক করে ফেলা যায়। এটা নিয়ে আসলে এত গসিপ করাও আমাদের ঠিক না, এত কথা বলাও ঠিক না। কারণ যার যার মনের কথা এখানে এসেছে। এটা সত্য-মিথ্যা এগুলো বড় কথা না।

সব সামলে দিবেন পাপন
অন্যদিকে খালেদ মাহমুদ সুজন বিশ্বাস করেন সাকিব ও মাশরাফির যত আলোচনা-সমালোচনা এই সব বিষয় সামাল দিবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘বোর্ডে পাপন ভাই আছে। আমি সব সময় বলি, উনি এমন একজন লোক যিনি ক্রিকেটের খুঁটিনাটি সব খোঁজখবর রাখেন এবং উনি যেকোনো পরিস্থিতিকে সামাল দিতে পারেন। পাপন ভাই হয়তো ব্যক্তিগত কারণে এখন বের হচ্ছেন না। সেটা যাই হোক, ছোটখাটো বিষয় এগুলো। খুব তাড়াতাড়িই সলভ হয়ে যাবে। আমার এখন ফিরে আসা উচিত ক্রিকেটে। সামনে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা যাবে, আবার তারা আসবে। সুতরাং কীভাবে বাংলাদেশ দল ভালো ক্রিকেট খেলবে- সেটাই এখন মুখ্য।

কিপিং ছাড়ার সিদ্ধান্ত মুশফিককেই নিতে হবে
নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের অন্যতম কারণ ছিল ফিল্ডিং ব্যর্থতা। বিশেষ করে অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মুশফিকের ক্যাচ ছাড়া ছিল ভীষণ দৃষ্টিকটু। তাই ক্রিকেট ভক্তদের তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। দাবি উঠেছে তার কিংপি ছাড়ারও। এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘এটা আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের সবাই কিন্তু জেতার জন্যই খেলে। মুশফিকও এর অংশ। সেও জেতার জন্যই খেলে। আমি মনে করি, এ (কিপিং) সিদ্ধান্তটা নেয়ার জন্য মুশফিকই সেরা ব্যক্তি যে এখন কিপিং গ্লাভসটা তুলে রেখে ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেবে কি না। এই সিদ্ধান্তটা আমি ওর কাছেই রাখতে চাই। এটা আমি ওভাবে আলাপ না করে বলতে চাই, ও খুব ভালো চিন্তা করে। বাংলাদেশ দলের জন্য চিন্তা করে, নিজের জন্যও করে। যেহেতু লিটন-মিঠুন আছে, আমার মনে হয় কিপিংটা ওর আগের মতো হচ্ছে না, ওদের একজনকে গ্লাভসটা ছেড়ে দেবে কিনা। এটার সিদ্ধান্ত ও নিলেই সবচেয়ে ভালো হবে। একজন সিনিয়র ক্রিকেটার, সাবেক অধিনায়ক হিসেবে ওর তো অনেক দায়িত্ব আছে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *