প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ বছরের পুরনো এবং প্রায় ২৫০ বছর আগে নামকরণকৃত খাতুনগঞ্জে ২০০৪ সাল থেকে জলাবদ্ধতার কারণে দোকান ও গুদামের পণ্য নষ্ট হয়ে শত শত কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এ অবস্থায় চাক্তাই খালকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যকরী পরিকল্পনা গ্রহণ করার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
গতকাল সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রি, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে ‘ইকোনমিক ইমপেক্ট অব ওয়াটারলগিং অন লোকাল ট্রেড: দ্য কেস স্টাডি অব খাতুনগঞ্জ, হোলসেল কমোডিটি মার্কেট চট্টগ্রাম’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি প্ল্যানিং কমিশন প্রোগ্রাম ডিভিশনের চিফ (অতিরিক্ত সচিব) খন্দকার আহসান হোসেন বলেন, যেকোনো সমস্যা সমাধানে গবেষণা ও সমীক্ষা পরিচালনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাতুনগঞ্জ ও তত্সংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, তা নির্ণয় করার জন্য এ গবেষণা করা হচ্ছে। আশা করছি এই কর্মশালায় উপস্থাপিত তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর হস্তান্তর করা হবে।
কর্মশালায় স্টাডি রিপোর্ট উপস্থাপন করেন এনআরপির কনসালট্যান্ট ড. রিয়াজ আক্তার মল্লিক, ড. নজরুল ইসলাম, ড. আবু তৈয়ব মো. শাহজাহান ও সুমাইয়া বিনতে মামুন। কর্মশালায় জয়েন্ট চিফ ও প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুন নাহার, বুয়েটের ফ্যাকাল্টি অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ের ডিন অধ্যাপক খন্দকার শাব্বির আহমেদ, চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন) ও অঞ্জন শেখর দাশ, চসিকের চিফ সিটি প্ল্যানার আর্কিটেকচার একেএম রেজাউল করিম, ইউএনডিপির প্রতিনিধি জাহিদুল হকসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।