কে-পপ দল বিটিএস এখন পশ্চিমের দুনিয়ায়ও দারুণ প্রভাবশালী। বিশ্বের অনেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারা নিয়মিত খবরের বিষয়। তাদের সাফল্যের ঢেউও যেন থামে না। দ্য কোরিয়ান বিজনেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট নিয়মিত দক্ষিণ কোরিয়ার তারকাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু হিসাব করে। প্রতি মাসেই তারা এ ব্র্যান্ড ভ্যালুর তালিকা প্রকাশ করে।
দক্ষিণ কোরিয়ান বিজনেস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের হিসাবে আগস্টে দেশটির তারকাদের ব্র্যান্ড রেপুটেশন র্যাংকিং প্রকাশ করেছে। তারকাদের মিডিয়া কাভারেজ, দর্শক চাহিদা, গণসংযোগ, সামাজিক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি উপাদান বিশ্লেষণ করে এ র্যাংকিং করা হয়। ১৬ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট সময়কালে ব্র্যান্ড রেপুটেশন র্যাংকিংয়ে এক নম্বর স্থানটি কে-পপ বিটিএসের দখলে। ব্র্যান্ড রেপুটেশেন ইনডেক্সে বিটিএসের পয়েন্ট ১৩০৯৮১২২। তাদের এ স্কোর অন্য যেকোনো তারকার চেয়ে অনেক বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন ভলিবল তারকা কিম ইয়ুন কুং। তার ব্র্যান্ড ভ্যালু ৩৫৮৪৬২৬। বিটিএসের চেয়ে অনেক পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও সংগীত ও অভিনয় শিল্পীদের দ্বারা শাসিত তারকাদের রাজত্বে নিজের ক্যারিশমা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এ খেলোয়াড়।
বিলবোর্ড হট হান্ড্রেডে কয়েক মাস ধরে শীর্ষ দশে আছে বিটিএসের গান ‘বাটার’। এ সপ্তাহে গানটি আছে ৭ নম্বরে। গানটি নয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিলবোর্ড হট হান্ড্রেডের শীর্ষস্থানে থেকে রেকর্ড গড়েছিল। ডিজিটাল সং সেলস চার্টে ১১ সপ্তাহ ধরে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে ‘বাটার’। আর দ্বিতীয় স্থানে আছে তাদেরই পারমিশন টু ডান্স।
এ সপ্তাহে বাজারে এসেছে ‘বিটিএস, দ্য বেস্ট’ অ্যালবাম নামে একটা সংকলন। প্রকাশের পরই এটি সেরা ২০০ অ্যালবাম চার্টে ১৯তম স্থান করে নিয়েছে। এটা বিলবোর্ড টু হান্ড্রেডের সেরা ২০-এ জায়গা করে নেয়া বিটিএসের নবম অ্যালবাম। বিলবোর্ড আরো ঘোষণা করেছে যে ‘বিটিএস, দ্য বেস্ট’ এ সপ্তাহে বিক্রির দিক থেকে পঞ্চম সেরা অ্যালবাম।
তাই সবাই বলেন, এ যুগে স্টার পাওয়ার মানে দক্ষিণ কোরিয়ার কে-পপ বিটিএস।