জহুরুল ইসলাম: [২] করোনাযুদ্ধে সপরিবারে জয়ী হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হুমাইয়ারা বিনতে কবির মুনিয়া ও তার পরিবার।
[৩] কিন্তু মহামারি করোনার কাছে হেরে গিয়ে প্রান হারাতে হয়েছে মুনিয়ার বাবা স্কুলশিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির (৫১)।
[৪] মুনিয়ার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার মানিকারচর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে। বাবা মায়ের চাকুরীর সুবাদে পুরো পরিবার ঢাকাতেই থাকেন।
[৫] মুনিয়া জানান, “হঠাৎ করেই বাবার প্রচন্ড সর্দি-কাশি ও জ্বর শুরু হবার পর গত ২৬ মে মঙ্গলবার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই এবং ফলাফল গত ২৮ মে বৃহষ্পতিবার প্রদান করা হয় এতে মায়ের নেগেটিভ আর বাবা, ছোটো বোন ও আমার ফলাফল করোনা পজিটিভ আসে। তারপর ওইদিন সকাল থেকে বাবার প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, বিকালে অবস্থা আরও খারাপ হলে আমরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং রাত ১১.৩০ মিনিটে বাবা ইন্তেকাল করেন। তবে খারাপ লাগার মত বিষয় এটা যে, বাবাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি কারনো হলে তৎক্ষণাৎ সেখানে আমরা কোনো চিকিৎসা সেবা পাই নি”।
[৬] নিজের পরিবারের বাকি সদস্যদের করোনা আক্রান্তের বিষয়ে শিক্ষার্থী মুনিয়া বলেন, বাবার করোনার উপসর্গ ছিলো কিন্তু মা, ছোটো বোন ও আমার মধ্যে কোনো উপসর্গ দেখা দেয় নি। বাবার মৃত্যুর পরদিন আমরা সপরিবারে চিকিৎসা নিতে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি হই আর সেদিনের নমুনা পরীক্ষঅয় আমার মায়েরও করোনা পজিটিভ আসে। হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ৫ জুন আমাদের আবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় তাতে আমাদের পরিবারের সকলের ফলাফল নেগেটিভ আসে”।
[৭] তিনি আরও জানান, করোনা পজিটিভ আসার পর থেকে পরিবার, সহপাঠী, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের নিকট থেকে মানসিকভাবে অনেক সাপোর্ট পেয়েছি, সকলেই সবসময় অনেক খোঁজখবর নিয়েছেন। করোনার এ সংকটময় মুহুর্তে সকলকে নিরাপদ থাকারও পরামর্শ দেন শিক্ষার্থী মুনিয়া।