কালীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন ২৮ ফেব্রুয়ারি

গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এস.এম রবীন হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের ফরিদ আহমেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হাতপাখা প্রতীকের মো. চাঁন মিয়া ও স্বতন্ত্র নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী মো. লুৎফুর রহমানসহ ৪ মেয়র প্রার্থী তাদের প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন। তাদের এই প্রচার-প্রচারণা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৬ হাজার ৬৪০ জন ভোটারের মন জয় করতে।

[৩] স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থানেই আছেন। অন্যদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কোনো সাংগঠনিক কার্যকলাপ না থাকায় স্থানীয়ভাবে অনেকটা ঝিমিয়েই পড়েছে এককালের বৃহৎ এই রাজনৈতিক দলটি।

[৪] ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে কালীগঞ্জ পৌরসভার দ্বিতীয় পৌর নির্বাচন। এর আগে ২০১৩ সালের ৩০ জুন প্রথম পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সময় দলীয় কোনো প্রতীক ছিল না। তবে দলীয় প্রতিকে এবারই প্রথম কালীগঞ্জ পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ১৭টি কেন্দ্র ও ১২০টি কক্ষের মাধ্যমে ভোটাররা তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করবেন। এতে ৪ মেয়র, ৩৩ সাধারণ কাউন্সিলর, ১০ সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
ইন্ডিয়ান-২’র শুটিংয়ে দুর্ঘটনায় গ্রেপ্তার ক্রেন অপারেটর ≣ [১] টিকা বিজ্ঞানসম্মত, সবার নেওয়া উচিত: ত্রাণমন্ত্রী ≣ [১]ফ্লয়েড হত্যায় আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, সুবিচার চাই : বাস্কেটবলের কিংবদন্তী মাইকেল জর্ডান

[৫] নিয়ানুযায়ী ৫ বছর পর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও গত ২০১৩ সালের পৌর নির্বাচনের পর সীমানা জটিলতার কারণে অতিরিক্ত আড়াই বছর চলে গেলেও পৌর নির্বাচন হয়নি। কিন্তু চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী ৬ষ্ঠ ধাপে ৩১টি পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসীল ঘোষণা করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে কালীগঞ্জ পৌরসভা রয়েছে। ২ ফেব্রুয়ারি ছিল মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন। ৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন যাচাই-বাছাই, ১১ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীতা প্রত্যাহার, ১২ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় নির্বাচনী প্রচারণা।

[৬] ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উন্নয়নের মার্কা হিসেবে তারা নৌকাতেই তাদের আস্থা রাখছেন। এগিয়েও রাখছেন নৌকাকেই। সেই হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত এস.এম রবীন হোসেনই ভরসা। বিএনপি, আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সবাই মাঠেই আছেন। তারা তাদের প্রচারণাও করছেন ঠিকঠাক।

[৭] ভোটাররা জানান, গত প্রায় সাড়ে ৭ বছরে কালীগঞ্জ পৌরসভায় উল্লেখ্যযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। রাস্তা-ঘাট, পয়ঃনিষ্কাশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, সড়ক বাতি কোনো কিছুরই উন্নয়ন হয়নি। পৌরবাসীর কাছ থেকে আবাসিক কর নিলেও স্থানীয়ভাবে নাগরিক সেবা পাইনি তারা। স্থানীয় ভোটাররা পৌরসভার উন্নয়ন চান। তাই সরকার দলীয় মেয়র প্রার্থীতেই আস্থা রাখছেন তারা।

[৮] কালীগঞ্জ পৌর নির্বাচন রিটার্নিং ও গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে আমরা সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *