ঈদের ছুটি ছাড়া কারখানা চালু রাখার দিকনির্দেশনা

ঈদুল আজহার সময় শিল্প-কারখানার কার্যক্রম সরকার ঘোষিত ঈদের সাধারণ ছুটির দিন ছাড়া চলমান রাখার দিকনির্দেশনা দিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ শ্রম অধিদপ্তর। পাশাপাশি নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে শিল্প-কারখানার কর্মরত শ্রমিকদেরকে কর্মরত এলাকায় থাকার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি নিশ্চিত করারও দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

২২ জুলাই পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ এবং বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনসহ শিল্প-কারখানাসংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ও দপ্তরগুলোয় চিঠি দেয় শ্রম অধিদপ্তর। চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আসন্ন ঈদুল আজহার সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

বিস্তার রোধে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে দিকনির্দেশনায় শ্রম অধিদপ্তর বলেছে, ঈদুল আজহার সময় শিল্প-কলকারখানাগুলোর কার্যক্রম সরকার ঘোষিত ঈদের সাধারণ ছুটির দিন ব্যতীত চলমান রাখা যেতে পারে এবং শিল্প-কারখানাগুলোয় কর্মরত শ্রমিকদের আবশ্যিকভাবে কর্মরত এলাকায় থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা যেতে পারে।

১৬ জুলাই সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি তিনদিন থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ওইদিন তিনি আরো বলেন, ঈদের ছুটিতে কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। ছুটিকালীন তিনদিন পোশাক কারখানার শ্রমিকদেরও কর্মস্থল ত্যাগ না করার আহ্বান জানান তিনি।

শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঈদুল ফিতরেও ছুটিতে বাড়িতে না যাওয়ার দিকনির্দেশনা ছিল। তবুও অনেক শ্রমিক বাড়িতে ঈদ উদযাপন করেছেন। গত ঈদে যারা যাননি, তারা যেমন বাড়ি যেতে আগ্রহী থাকবেন, আবার এবার এবার ঈদুল আজহাতেও যান চলাচলে কোনো বিধিনিষেধও নেই। ফলে সাধারণ ছুটিতে শ্রমিকরা বাড়ি যেতে চাইলে তার সেই গতিপথ বন্ধ করা জটিল হয়ে যাবে।

শিল্পসংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনা দেশের এ ছয় শিল্প এলাকার ৭ হাজার ৬০২টি কারখানায় ৪০-৪১ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। ঈদুল ফিতরে এ শ্রমিকদের একটা অংশ নিজ এলাকায় বাড়িতে ঈদ উদযাপন করেছেন। অনেকে যেতে চাইলেও আর্থিক কারণে যেতে পারেননি। ২৬ এপ্রিল থেকে কারখানা চালুর ঘোষণা আসার পর শ্রমিকদের বড় একটি অংশ আসেননি। কারণ কারখানা চালু হয়নি। শুরুতে তিন হাজার কারখানা বন্ধ ছিল। এখনো গড়ে দুই হাজার কারখানা বন্ধই থাকছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *