প্রায় তিন মাসের বিধিনিষেধ শেষে আগামীকাল ফের অধিকাংশ অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। একই সঙ্গে আগামীকাল দেশটির অভ্যন্তরীণ ভ্রমণও চালু করা হবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন গত রোববার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন। খবর এএফপি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তাছাড়া মালয়েশিয়া সামগ্রিকভাবে কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখিয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পুনরুদ্ধার পর্ব শুরু করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। ইয়াসিন বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত যে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে সরকার চিরকাল মানুষের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। ফলে পুনরুদ্ধার পর্বে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক, শিক্ষা ও ধর্মীয় কার্যক্রমের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিল করতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ফিরে যাওয়া হচ্ছে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রমেও।
এ সময়ে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের অনুমতি দেয়া হলেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া বন্ধ থাকবে বড় ধরনের গণজমায়েত। বিশেষ করে থিম পার্কের মতো বিনোদন কেন্দ্র, যেগুলোয় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়, সেগুলো আপাতত বন্ধ থাকছে।
মূলত গত মাস থেকেই মালয়েশিয়া সামাজিক দূরত্ব মেনে ধীরে ধীরে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ফিরতে শুরু করে। এর আগে ১৮ মার্চ থেকে অতি জরুরি নয়, এমন ব্যবসা, বিদ্যালয়, জনসমাগম ও ভ্রমণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটির সরকার। তবে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণের গতি সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় অনেকটাই কমে এসেছে। অথচ মার্চের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে এ সংক্রমণে দেশটির অবস্থান শীর্ষে ছিল বলা চলে। গত শনিবার পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ৩০৩ জন, মারা গেছে ১১৭ জন।