লক্ষ্য ১২৮ রান, মিরপুরের চেনা উইকেট। সেখানে কিনা মাত্র ৭০ করেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ের পর হার তৃতীয় ম্যাচে। অথচ এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যেত টাইগারদের। অথচ ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উইকেট বিলানোর মিছিলে যোগ দেন টাইগাররা। বেশি বেশি মারার প্রবণতাই কাল হয়েছে শেষ পর্যন্ত। আর এমন আচরণ পছন্দ হয়নি দলের নয়া ব্যাটিং পরামর্শক অ্যাশওয়েল প্রিন্সের। তিনি তাই ব্যাটসম্যানদের আরও দায়িত্বশীল হতে বলেছেন।
প্রিন্স বলেন, আমার মনে হয় রান তাড়ায় আমরা আরও দায়িত্বশীল হতে পারতাম। আমরা শুরুটা ভালোই করেছিলাম। প্রথম ওভারে নাঈমের একটি বাউন্ডারি, দ্বিতীয় ওভারে লিটনের দু’টি বাউন্ডারি, ২ ওভার শেষে রান ছিল ২০। এর পরের ৩-৪ ওভারে দ্রুত অনেক উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আমরা অনেক বেশি আগ্রাসী ব্যাটিং করেছি। আমার মনে হয় না পিচ খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছিল। ১২৯ রান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো স্কোর ছিল। আরেকটু দেখেশুনে খেললে রান তাড়া করতে পারতাম।’
আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ। জিতলেই সিরিজ নিজেদের করে নিবে বাংলাদেশ। তবে তার আগে মিরপুর শেরেবাংলা মাঠের যে উইকেট সেটি যে দ্রুত রান তোলার মতো নয় তাও শিষ্যদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রিন্স। তিনি বলেন, উইকেট দ্রুত রান তোলার মতো নয়। খুব বেশি বাউন্ডারি এমন উইকেটে হয় না। তাই স্ট্রাইক রোটেট করে রান রেট ৬ রাখা উচিত। নিশ্চিত করতে হবে প্রয়োজনীয় রান রেট খুব বেশি না দাঁড়ায়। জিম্বাবুয়েতে আমরা ভালোই লক্ষ্য তাড়া করেছি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আফিফ ও সোহান রান তাড়ায় পারদর্শিতা দেখিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো দলের ব্যাটসম্যানদের কম্বিনেশন। আমাদের দলে এমন খেলোয়াড় আছে যারা স্ট্রাইক রোটেট করতে পারে আবার এমন খেলোয়াড়ও আছে যারা বাউন্ডারিও হাঁকাতে পারে, শেষদিকে ওভার প্রতি ৯-১০ রান প্রয়োজন হলে ঐ অনুযায়ী ব্যাট করতে পারে। আমি মনে করি আমাদের কম্বিনেশন ভালোই আছে, আমাদের সব ধরনের খেলোয়াড় আছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো- প্রতিটি পিচ ভিন্ন এবং পিচের ধরন বুঝে মানিয়ে নিতে হবে।’