চিরস্থায়ী আর অনন্তকাল কোথায়

আমরা অনেকদিন বেঁচে থাকতে চাই। কিন্তু জীবন ক্ষণস্থায়ী তা কে না জানে। চীনা উদ্যোক্তা জ্যাক মা নিজে বলেছেন তার স্ত্রী তাকে বলে তুমি আমাদের কেউ নও, তুমি তোমার গড়া প্রতিষ্ঠান আলিবাবার। এই আলিবাবা গড়তে কি না কঠোর পরিশ্রম করেছেন জ্যাক মা। অথচ সেই জ্যাক মা বলেন যদি আরেকটি জীবন থেকে থাকে তাহলে এ জীবনের মত যাপন আর করব না। জীবনে ভোগ, বিলাস, অর্থ, ভালবাসা সবইতো ক্ষণিকের। তাহলে এর পিছনে চলতে চলতে আমরা হয়রান হই না কেনো? আমরা কি সেই কলুর বলদের মত, চোখে ঠুলি দেয়া, ঘুরছি তো ঘুরছিই। এই যে তাজমহল যা প্রেমের শীর্ষ এক প্রতীক যাকে নিয়ে বলা হয় পৃথিবীর মানুষ দু’ভাগে বিভক্ত, এক ভাগ যারা তাজমহল দেখেছে আর যারা তা দেখেনি। কিন্তু তাজমহর নির্মাণ নিয়ে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে মানুষের। শ্রমিকদের নির্যাতনের বিষয়টি চাপা পড়ে আছে। দুনিয়ায় যত উন্নয়ন দেখবেন তার আড়ালে গুমড়ে কাঁদে বৈষম্য। মানুষ আসলে যাপিত জীবনে এক বিশাল বিশৃঙ্খলা রেখে যায়। প্রকৃতি ধ্বংস করে। এইযে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় টিকা তাবৎ মানুষকে যত শীঘ্র দেওয়ার জন্যে এসেছে তারপরও ১শ কোটি টিকা ধনী দেশগুলোর দখলে অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে। মেয়াদোত্তীর্ণ টিকা ফেলে দেওয়া হচ্ছে। অনেক দেশ এখনো টিকাই পাচ্ছে না। এই আমাদের আধুনিক জীবন ব্যবস্থা। উৎপাদন, উদ্বৃত্ত আর সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলতে যেয়ে, অব্যাহতভাবে খনিজ সম্পদ তুলতে যেয়ে আমরা বিশে^র তাপমাত্রা এমন অতিরিক্ত বৃদ্ধি করে ফেলেছি যে জলবায়ু পরিবর্তন এখন আমাদের জন্যে প্রধান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিলিয়ন থেকে ট্রিলিয়ন ডলার গুটিকয়েক মানুষের হাতে ঘুরপাক খেতে এমন এক অর্থব্যবস্থা বিশ^কে বৈষ্যমের যাঁতাকলে ফেলে দিয়েছে যেখান থেকে সাম্য কিংবা নিদেন পক্ষে ভারসাম্যের পথে ফিরে আসা সুদূর পরাহত। আমরা প্রথম জলাশয় ভরাট করি, এরপর সেখানে লেক তৈরি করি আর উন্নয়নের পুকুর চুরিতে এভাবে নদী বাঁধে আটকা পড়ে প্রাণ হারায়, এর তলদেশে পলি জমে নদী অববাহিকার সভ্যতা আপনা আপনি হারিয়ে যায়। নদীসিকস্তি লাখ লাখ মানুষ বস্তীবাসী হয়। এসব থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় কি আছে? অন্যদিকে যারা অগাধ সম্পদের মালিক বনে যান তাদেরও আরো চাই। এ চাওয়ার কোনো বিরাম নেই।

দুদিন আগে পত্রিকায় পড়লাম খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের টয়লেট থেকে সদ্য জন্ম নেওয়া এক নবজাতক উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বিক্ষিপ্ত ঘটনা হিসেবে এটি অনেকের চোখ এড়িয়ে যায়। ওই নবজাতক এখন পিতৃপরিচয়হীন, এমনকি মাতৃপরিচয় নেই। কি নির্দয়! লাশ বেওয়ারিশ হয় কিন্তু নবজাতক? অবশ্যই ওই শিশুটির মা ও বাবা প্রেম করেছিলেন, কিংবা প্রেমের ভান করেছিলেন, যৌনতায় সংবরণ আনতে পারেননি, কত তত্ত্বকথা যে লুকিয়ে আছে এ ঘটনার পিছনে। যদি প্রেম করে থাকে কেউ তাহলে আমাদের সমাজ এখনো তার কোনো স্বীকৃতি দিতে শেখেনি একারণেই কি নবজাতকের স্থান হয় টয়লেটে? খাগড়াছড়ি সমাজসেবা কার্যালয় এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে দেখভাল করছে। কিন্তু সমাজের দেখভাল করবে কে?

মাওলানা রুমি বলেছেন নিজেকে হারাও, বিলীন করে দাও। প্রেমের মাঝে। প্রথমত রুমি এই প্রেমে নিজেকে বিলীন করার কথা বলেছেন। যখন আপনি এই ভালোবাসায় নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন তখন আপনি সবকিছু খুঁজে পাবেন। বলেছেন, নিজেকে হারানো, নিজেকে হারানো, এতে এই ক্ষতির ভয় নেই, কারণ তুমি পৃথিবী থেকে উঠবে এবং অন্তহীন আকাশকে আলিঙ্গন করবে। নিজেকে হারাও, নিজেকে হারাও, এই পার্থিব রূপ থেকে পালাও, এই শরীরের জন্য একটি শৃঙ্খল এবং তার ভেতরে বন্দী থেকোনা। যাপিত জীবনের যে কারাগারে আমরা আটকে গেছি তার প্রাচীর ভেঙে ফেলতে বলেছেন রুমি। তাহলে নিজে রাজা এবং রাজপুত্রদের সাথে বাইরে হাঁটতে পারবেন। এভাবে নিজেকে হারাতে পারলে আপনি রাজা হবেন। দুঃখ, কষ্ট, না পাওয়ার যাতনা থেকে নিজেকে হারাতে বলেছেন রুমি। লোভ লালসার কালো মেঘ থেকে পালাতে বলেছেন যা আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। তাহলে আপনি আপনার নিজের আলো দেখতে পাবেন, পূর্ণিমার মতো উজ্জ্বল। তারপর সেই নীরবতায় প্রবেশ করবেন, যা আপনাকে চিরস্থায়ী জগতে নিয়ে যাওয়ার এক নিশ্চিত উপায় হয়ে উঠবে। রুমির বিশ্লেষণ হচ্ছে জীবন কি? কেউ হওয়ার সংগ্রাম ছাড়া আর কিছুই নয়, কেউ হয়ে ওঠার জন্য আমরা নিরন্তর ছুটছি, এই পথচল থেকে একটু বিরাম দরকার। যা আপনার নিজের নীরবতা থেকে পালানো ছাড়া আর কিছুই নয়।

আসল কথা হচ্ছে দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনে সম্পদের প্রতি মানুষের লোভ ও মোহ আজন্ম। এ মোহ থেকে মুক্ত হয়ে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে সার্থক প্রবেশ চাইলে লক্ষ্য একটাই মানুষ দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সম্পদের প্রতি যেন ঝুঁকে না পড়ে। সুরা আল-ইমরানের ১৪ নম্বর আয়াত নাজিল হওয়ার পর হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হে আল্লাহ! তুমি যখন দুনিয়াকে এত আকর্ষণীয় বস্তু দ্বারা সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছ, আর আমরা দুনিয়ার এ সৌন্দর্য দেখে বিস্ময়ে মুগ্ধ। তবে এখন আমাদের কী হবে? তখন এ সুরা আল-ইমরানের ১৫ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। আল্লাহ সে আয়াতে বলেন, ‘ অর্থাৎ হে রাসুল! আপনি বলে দিন, দুনিয়ার যে সম্পদের কথা আগে বর্ণিত হয়েছে তার চেয়ে উত্তম বস্তুসমূহের কথা আমি তোমাদেরকে বলি আর তাহলো চির শান্তির স্থান জান্নাত ও চিরন্তন মুক্তি।’ সুরা আল ইমরানের ১৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘নারী, সন্তান-সন্ততি, সোনা রুপার ভাণ্ডার আর সুশিক্ষিত ঘোড়া, গবাদি পশু এবং ক্ষেত-খামার মানুষের কাছে সুন্দর, আকর্ষণীয় ও লোভনীয় করা হয়েছে। এসবই ক্ষণস্থায়ী জীবনের ভোগ্য-বস্তু মাত্র। আল্লাহর কাছেই রয়েছে শ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থল।’ (৩:১৪) এসব যাবতীয় বস্তু কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ আয়ুর মধ্যে সীমাবদ্ধ। বৈষয়িক সম্পদের প্রতি আকর্ষণ প্রতিটি মানুষের সহজাত প্রকৃতি কিন্তু বিপজ্জনক বিষয় হলো, বৈষয়িক চাকচিক্যের মোহে প্রতারিত হওয়া। প্রতারিত হলে নিজেকে হারানোর মত মুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না। পার্থিব বিষয়-আশ্রয়কে ব্যবহার করা ও সেসবের প্রতি আকর্ষণ খারাপ নয়। কিন্তু পার্থিব বিষয়-আশ্রয়ের মোহের জালে বাধা পড়া এবং এসবের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া ক্ষতিকর। তাই আমাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণের জন্য আল্লাহর স্থায়ী নেয়ামতের সাথে ক্ষণস্থায়ী নেয়ামতের তুলনা করা শিখতে হবে। সূরা আলে-ইমরানের ১৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে,
قُلْ أَؤُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرٍ مِنْ ذَلِكُمْ لِلَّذِينَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ وَرِضْوَانٌ مِنَ اللَّهِ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ (১৫)
‘হে নবী, আপনি মানুষকে বলুন আমি কি পার্থিব আকর্ষণের চেয়ে তোমাদেরকে ভালো কোন কিছুর সুসংবাদ দেব? যারা খোদাভীরু, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের কাছে স্বর্গ-উদ্যান রয়েছে এবং সেই উদ্যানের গাছের তলদেশ দিয়ে নদী সমুহ প্রবাহিত। সেখানে তারা স্থায়ীভাবে থাকবে। সেখানে তাদের জন্য রয়েছে পবিত্র সঙ্গীনী এবং সবচেয়ে বড় নেয়ামত তথা আল্লাহর সন্তুষ্টি। আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখেন।’ (৩:১৫)

এসব আয়াতে পার্থিব কোন কোন বিষয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণের কথা উল্লেখ করার পর এই আয়াতে বেহেশতের স্থায়ী কিছু নেয়ামতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে মানুষ পার্থিব ও বেহেশতী নেয়ামতের মধ্যে তুলনা করে সঠিক পথ বেছে নেয় এবং দুনিয়ার চাকচিক্যে প্রতারিত না হয়। পৃথিবীতে ফলের বাগান,মনোরোম প্রাকৃতিক দৃশ্য এসব যদি মানুষকে মুগ্ধ করে,তাহলে বেহেশতের সবুজ গাছগাছালী ও ফলের বাগানে পরিপূর্ণ এবং নদী বিধৌত স্থায়ী বাগান কি বেশি আকর্ষণীয় নয়? ফল-ফলাদি ও অফুরন্ত খাদ্যে পরিপূর্ণ বেহেশতি উদ্যানে পবিত্র জীবনসঙ্গীনীও থাকবে। এই সব বর্ণনার মাধ্যমে বেহেশতের অফুরন্ত ও অশেষ বৈষয়িক নেয়ামতের মধ্যে অতি সামান্য অংশের উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বেহেশতে মুমিনদের জন্য সবচেয়ে বড় ও অমূল্য খোদায়ী পুরস্কার হল আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তাঁর নৈকট্য।
[১] দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, অর্থনীতিবিদদের শঙ্কা আরো বাড়বে ≣ [১] ওয়ারহাউজ ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি পেলেন ফায়ার সার্ভিসের ১০৭ কর্মকর্তা ≣ [১] সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি, বিশ্ব বাঘ দিবস আজ

তার মানে দাঁড়াচ্ছে বেহেশতের স্থায়ী নেয়ামত পেতে হলে পবিত্রতা অর্জন ও খোদাভীরু হওয়া জরুরি। কারণ, বেহেশত হল পবিত্র মানুষদের আবাসস্থল। বেহেশতের অধিবাসীদের সুখ ও আনন্দ শুধু বৈষয়িক ক্ষেত্রে সীমিত নয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হবে বেহেশতীদের জন্য সবচেয়ে বড় আধ্যাত্মিক আনন্দ। পবিত্রতা ও সতীত্ব নারীর সবচেয়ে বড় সম্পদ। আল্লাহ বেহেশতের স্ত্রী বা সহধর্মীনীদেরকে পবিত্র বলে উল্লেখ করেছেন।

সূরা আলে ইমরানের ১৬ ও ১৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا إِنَّنَا آَمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ (১৬) الصَّابِرِينَ وَالصَّادِقِينَ وَالْقَانِتِينَ وَالْمُنْفِقِينَ وَالْمُسْتَغْفِرِينَ بِالْأَسْحَارِ (১৭)
‘খোদাভীরু লোকেরা বলে হে আমাদের প্রতিপালক, নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি তাই, আমাদের অপরাধ ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে নরকের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।’ (৩:১৬)
‘ তারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, সেবানুগত বা নির্দেশমান্য কারী, দানশীল এবং ভোরবেলায় প্রার্থনাকারী।’(৩:১৭)

পূর্ববর্তী আয়াতে খোদাভীরুদেরকে বেহেশতী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই দুই আয়াতে খোদাভীরুদের চিন্তাগত, নৈতিক ও আচরণগত বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে যাতে বোঝা যায় কারা আল্লাহর বেহেশতে প্রবেশের যোগ্য। প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে যারা খোদাভীরু তারা সব সময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। প্রকৃতপক্ষে তওবা হচ্ছে ক্ষমা প্রার্থনা, তাকওয়া অর্জন এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী হবার উপায়। মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত এটা বিশ্বাস করে না, যে তার সমস্ত তৎপরতাই আল্লাহ দেখছেন ততক্ষণ পর্যন্ত সে তার আচরণ ও বক্তব্যকেও নিয়ন্ত্রণ করে না। তাকওয়া বা খোদাভীতির অর্থ শুধু পাপ থেকে মুক্ত থাকা নয়। খোদাভীতির আরেকটি দিক হল সংযম। খোদাভীরু লোকেরাও কখনও কখনও পাপ করতে পারে। কিন্তু অন্যান্য পাপীদের সাথে তাদের পার্থক্য হল পাপ কাজ তাদের অভ্যাস ও বদ্ধমূল চেতনার অংশ নয়। বরং তারা অবহেলা ও অসচেতনতার কারণে ভুলক্রমে পাপে লিপ্ত হয়। কালেভদ্রে তারা অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করলেও সাথে সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং নিজেদেরকে পুণরায় পাপ করা থেকে মুক্ত রাখে। সত্যের পথে সুদৃঢ় থাকা এবং শয়তানের কুমন্ত্রণার মোকাবেলায় দৃঢ় প্রতিরোধ হল এসব বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রধান যা এসব আয়াতে বলা হয়েছে। খোদাভীরু লোকেরা এসব গুণের কারণে সব ধরণের কপটতা, নিজেকে জাহির করা মিথ্যা ও প্রতারণার মত পাপ থেকে দূরে থাকতে পারেন। এছাড়াও খোদাভীরু লোকেরা বিনয়ের সাথে আল্লাহর বিধি-বিধান মেনে চলেন এবং আল্লাহর নির্দেশকে তারা মন ও প্রাণ দিয়ে গ্রহণ করেন। পরহেজগার লোকেরা আল্লাহর নির্দেশ মানার পাশাপাশি সৃষ্টির ও কল্যাণের চিন্তা করে। এজন্যে তারা বঞ্চিতদের দান-খয়রাত করে এবং তাদের অভাব পূরণ করে। এতসব ভালোগুন ও কাজের কারণে খোদাভীরুরা কখনও অহংকারী হয়ে পড়ে না,তারা তাদের অবহেলাজনিত ছোট-খাট পাপ বা ত্রুটিকে আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে ও মানব সেবার ক্ষেত্রে অত্যন্ত বড় ভুল বলে মনে করে, গভীর রাত ও ভোরবেলায় তীব্র অনুশোচনা নিয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *