আগের ম্যাচে বার্সেলোনা পয়েন্ট হারালে শীর্ষ স্থান দখলে নেয়ার সুযোগ পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। সেটা হাতছাড়া করেনি জিনেদিন জিদানের দল। ঘটনাবহুল ম্যাচে রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে বার্সেলোনাকে টপকে গেছে তারা। লা লিগার ৩০ ম্যাচ শেষে এখন রিয়ালের আর বার্সার পয়েন্ট সমান (৬৫)। তবে হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে এক ধাপ এগিয়ে গেছে লস ব্লাঙ্কোস।
রোববার রাতে সোসিয়েদাদের মাঠে ২-১ গোলে পাওয়া রিয়াল মাদ্রিদের জয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেটা রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫০তম মিনিটে স্পটকিক থেকে গোল করে রিয়ালকে লিড এনে দেন সার্জিও রামোস। ম্যাচে বিতর্কের শুরুটা হয় এখন থেকেই। মার্সেলোর দারুণ পাস ধরে দ্রুতগতিতে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
দুজনকে কাটিয়ে সামনে এগিয়ে শট নেওয়ার প্রচেষ্টায় থাকা এই ব্রাজিলিয়ানকে সোসিয়েদাদ ডিফেন্ডার দিয়েগো লরেন্তে ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। লরেন্তের টাচ অবশ্য কতোখানি শক্তিশালী ছিল সেটি নিয়ে তর্কাতর্কি হতেই পারে। তবে ভিএআরও রেফারির পক্ষে রায় দিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। চলমান আসরে রিয়াল অধিনায়কের এটি সপ্তম গোল। এ গোলে গড়েছেন দারুণ এক রেকর্ডও। ডিফেন্ডার হিসেবে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের (৬৮) মালিক এখন তিনি।
এরপরেই আরো একবার ‘ভিলেন’ রেফারি। ৬৯তম মিনিটে আচমকা আদনান ইয়ানুজাইর বক্সের ঠিক বাইরে থেকে করা দারুণ এক শট রিয়ালের জালে জড়িয়ে যায়। রেফারি গোলের বাঁশি বাজাননি। সিদ্ধান্ত পরে গেছে ভিআরে। ইয়ানুজাই গোলে শট করার সময় সোসিয়েদাদের মিকেল মেরিনো ছিলেন অফসাইডে। নিজে নড়াচড়া না করলেও, রিয়াল গোলরক্ষক কোর্তোয়ার ভিউ আটকে দিয়েছিলেন তিনি। পরে তাই গোল বাতিলই হয়েছে।
এর রেশ না কাটতেই বড় ধাক্কা খায় সোসিয়েদাদ। ৭০ মিনিটে ডান দিক থেকে ফেদে ভালভার্দের ক্রসে কাঁধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে নিচু আলতো শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বেনজেমা। আসরে ফরাসি ফরোয়ার্ডের এটি ১৭তম গোল। এই গোলেও বসেছে প্রশ্নবোধক চিহ্ন। সংশয় ছিল বেনজেমার বল রিসিভ করার প্রক্রিয়া নিয়ে। তাই লম্বা সময় ধরে ভিএআরে চেক করাতে হয়েছে রেফারিকে। বল রিসিভ করার সময় বাহু আর বুকের মাঝামাঝি জায়গায় বল লেগেছিল বেনজেমার। পরে অবশ্য গোলের সিদ্ধান্ত বেনজেমার পক্ষেই গেছে।
৮৩তম মিনিটে দারুণ গোলে ব্যবধান কমান মেরিনো। ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো উঁচু ক্রস ডি-বক্সে ধরে বুলেট গতির শটে গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। নাটকীয় শেষের সম্ভাবনা জাগলেও বাকি সময়ে আর কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
জয় পেলেও দুই অর্ধেই বাজে খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠলেও শিরোপা পুনরুদ্ধারে উন্নতি করতে হবে পারফরমেন্সের।