ছাত্রদল নেতাদের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তুলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ নেতা ছাত্র নন। বয়সের দিক থেকে তারা ছাত্রের বাবা।
রোববার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ছাত্রদল যারা করে তাদের বয়স কতো একটু ভাবেন। যারা ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ওরা কি ছাত্র! বয়স ৪০ এর কোঠায়, ওরা তো ছাত্রের বাবা। সুতরাং ছাত্রদের বাবা স্থানীয় যারা ছাত্রদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের পক্ষ থেকে এসেছে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মধ্যকার সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে প্রথমে উসকানি এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্রদলের উস্কানিতেই এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। তারা যখন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে চায়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্ররা বাধা দেবে এটা খুবই স্বাভাবিক।
পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হওয়ায় বিএনপিসহ যারা বিরোধীদের মুখে চুনকালি পড়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, মুখে চুনকালি পড়ায় বিএনপি মানুষের এই উচ্ছ্বাস যাতে না থাকে সেজন্য দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। মানুষের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নিতে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, সুপ্রিম কোর্টের সামনে সন্ত্রাস করছে, বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশের নামে আবার সন্ত্রাস, গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জনগণকে সাথে নিয়ে এই ধরণের বিশৃঙ্খলা, অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা কঠোর হস্তে প্রতিহত করা হবে।