পূর্ব শত্রুতার জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের দু’জন আহত হয়েছে। সময় টিভি, কালের কণ্ঠ
সোমবার (১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল হাওলাদার এবং একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশনস সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী প্রীতম সেন।
সুদানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছে দেশটির সরকার ≣ [১] ফিলিস্তিনে গত ১৫ বছরে প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা ≣ [১] বিশেষ ক্ষমতাবলে সবচেয়ে বেশি ২,৮১৯ জনকে ক্ষমা করেছেন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট, ট্রাম্প করেছেন এ পর্যন্ত ৭০ জন
এদের মধ্যে সোহেল হাওলাদারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং প্রীতম সেনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্বের ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল হাওলাদারের উপর ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী সালমান চৌধুরী, প্রীতম সেন, সিফাত, সোহাগ, আল-আমিন, অভি সহ বেশ কয়েকজন হামলা করে। এতে সোহেল হাওলাদার ও প্রীতম সেন দু’জনই চোখে মারাত্মকভাবে জখম হন।
এ বিষয়ে আহত সোহেল হাওলাদার বলেন, ‘আমি হোটেল থেকে খাবার খেয়ে হলে ফিরছিলাম। এই সময় পেছন থেকে ১৫ থেকে ২০ জন এসে আমাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। যদিও তাদের সঙ্গে আমার পূর্বে একটা ঝামেলা ছিলো, যা ইতোমধ্যে মীমাংসা হয়ে গেছে।
তবে আরেক আহত প্রীতম সেন সরাসরি মারধরের ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি হলে যাচ্ছিলাম। এ সময় দেখি কয়েকজন বাকবিতণ্ডা করছে। কৌতূহল বশত আমি সেখানে গেলে আমিও মারধরের শিকার হই।
একইভাবে মারধরের সাথে যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন মারধরের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠা দত্ত হলের ছাত্রলীগ কর্মী সালমান চৌধুরী। তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি মারামারি দেখে ওখানে গিয়েছি। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, আমরা এটা নিয়ে আগামীকাল ইলিয়াস ভাই (শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি) আসলে সন্ধ্যায় বসবো। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী কামাল উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার (২ মার্চ) আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্টরিয়াল বডি ও যাদের সাথে ঝামেলা হয়েছে এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে কাল বসে মীমাংসার চেষ্টা করবো। যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।