স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এই বিচার আবার শুরু হওয়ার কথা। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ ওই হামলার ২০ বছর পূর্ণ হবার আগে এ হামলার বিচার আবার শুরু হচ্ছে। এর মাধ্যমে ন্যায়বিচারপ্রাপ্তি ও অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এএফপি
[৩] যুক্তরাষ্ট্রের নৌঘাঁটি কিউবার গুয়ানতানামো বের কারাগারে রয়েছেন খালিদসহ অন্য আসামিরা। প্রায় ১৫ বছর ধরে সেখানে আছেন তারা। সামরিক ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার শুরু হয়েছিল। এনবিসি নিউজ
[৪] সবশেষ ২০১৯ সালের শুরুর দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এই বিচার প্রায় ১৭ মাস ধরে স্থগিত থাকে। এখন এই বিচার আবার শুরু হচ্ছে। গত রোববার ট্রাইব্যুনালের নতুন বিচারক বিমানবাহিনীর কর্নেল ম্যাথিউ ম্যাককল এ মামলার বিচারকাজ শুরু করার ইঙ্গিত দেন। শুরুর দিনের শুনানিতে বিচারকের যোগ্যতার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
[৫] শুরুর দিনের শুনানিতে বিচারকের যোগ্যতার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। শুনানিতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা অংশ নেবেন। তারা বিচারককে প্রশ্ন করারও সুযোগ পাবেন। পরে ১৭ মাস আগে বিচারকাজ যেখানে স্থগিত হয়েছিল, সেখান থেকে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসি
[৬] খালিদ শেখ মোহাম্মদের আইনজীবী মনে করেন, এখন যেসব শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেগুলো আসলে করা হয়েছে হামলার ২০তম বার্ষিকীতে কিছু একটা যে হচ্ছে সেটা মিডিয়াকে দেখানোর জন্য। ডেভিড নেভিন বিবিসিকে বলেন, তিনি আশা করছেন, ২০ বছরের বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ব্যাপারে কাজ হবে।
[১] করোনায় চট্টগ্রামে আরও ৪ জনের মৃত্যু,নতুন শনাক্ত ১৮০ ≣ ইমরান আহমেদ ভূঁইয়া: “ব্যাংক ন্যায়পাল আইন সময়ের দাবি” ≣ প্রভাষ আমিন: হেফাজতের অর্থবিত্ত!
[৭] এই আইনজীবী ২০০৮ সালে মামলাটি শুরু হওয়ার পর থেকেই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আসল পরিকল্পনা ছিল সাথে সাথেই বিচারকার্য শুরু করা। কিন্তু তিনি বলেন যে, তারা এখনও সেটা শুরুই করতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, নতুন একজন বিচারকও নিয়োগ করা হয়েছে, এই বিচারে যিনি সম্ভবত হবেন অষ্টম কী নবম বিচারক।
[৮] বিচারককে প্রথমে আগের শুনানিগুলোর ৩৫,০০০ পাতার বিবরণ পড়ে দেখতে হবে। এর সঙ্গে রয়েছে হাজার হাজার নির্দেশনা। নেভিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই ফৌজদারি অপরাধের সবচেয়ে বড় বিচার এবং সবচেয়ে বিতর্কিত।
[৯] ‘নাইন-ইলেভেন’ (৯/১১) নামে পরিচিত এ হামলায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। এ হামলার জেরে সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে নামে যুক্তরাষ্ট্র। আল-কায়েদার জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়। হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হয় তালেবান। পরে মার্কিন বিশেষ বাহিনী পাকিস্তানের গোপন আস্তানায় অভিযান চালিয়ে আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে।