৬ মাসে ৮৯ মিলিয়ন ভিডিও মুছে ফেলেছে টিকটক

গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে ৮৯ মিলিয়নের বেশি ভিডিও ক্লিপ মুছে দিয়েছে টিকটক। শর্ট ভিডিও ক্লিপ শেয়ারিংয়ের এ চীনা অ্যাপ প্রতিষ্ঠান তাদের সর্বশেষ ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ—১১ দশমিক ৫৮ মিলিয়ন—ভিডিওই যুক্তরাষ্ট্র থেকে আপলোড করা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, এর ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভিডিও কোনো ভিউ পাওয়ার আগেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছে টিকটক।

টিকটকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুছে ফেলা ভিডিওগুলো প্লাটফর্মটির মোট ভিডিওর ১ শতাংশের কম। চীনা প্রযুক্তি কোম্পানিটির কমিউনিটি গাইডলাইন অথবা নীতিমালার লঙ্ঘনের কারণে এসব ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শিশু নিরাপত্তা, সহিংস বা নৃশংস কনটেন্ট, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও পণ্য এবং আত্মহত্যা ও বিপজ্জনক কর্মকাণ্ড।

এ ভিডিওগুলোর ৯২ দশমিক ৪ শতাংশ মুছে ফেলা হয়েছে ব্যবহারকারীরা রিপোর্ট করার আগেই। আর ৯৩ দশমিক ৫ শতাংশ মোছা হয়েছে ভিডিও আপলোডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে।

ভিডিওর পাশাপাশি বিপুলসংখ্যক অ্যাকাউন্টও মুছে দিয়েছে টিকটক। এ সময় ৬ দশমিক ১৪ মিলিয়নের বেশি অ্যাকাউন্ট—এর মধ্যে প্রায় ৯ দশমিক ৫ মিলিয়নই স্প্যাম অ্যাকাউন্ট—মুছে দেয়া হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ দশমিক ২৩ মিলিয়ন স্প্যাম ভিডিও আপলোড করা হয়েছিল। এছাড়া ১৭৩ দশমিক ২৫ মিলিয়ন অ্যাকাউন্ট স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

টিকটক আরো জানিয়েছে, কোম্পানির বিজ্ঞাপন নীতি ও নির্দেশিকা লঙ্ঘনের কারণে ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন বিজ্ঞাপন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সেই সঙ্গে টিকটক জোর দিয়ে বলেছে, তারা অর্থের বিনিময়ে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করে না।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আপলোড করা ভিডিওগুলো বাদে পাকিস্তান থেকে আপলোড করা ৮ দশমিক ২২ মিলিয়ন, ব্রাজিল থেকে ৭ দশমিক ৫১ মিলিয়ন এবং রাশিয়ার থেকে আপলোড করা ৪ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে। এ তালিকার শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এ দেশ থেকে আপলোড করা ৩ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে।

এ সময় সরকারি সংস্থার কিছু অনুরোধও রক্ষা করেছে টিকটক। রাশিয়ার ১৩৫টি, পাকিস্তানের ৯৭টি এবং অস্ট্রেলিয়ার ৩২টি অনুরোধ রক্ষা করে সংশ্লিষ্ট কনটেন্ট সীমিত করা বা মুছে দিয়েছে প্লাটফর্মটি। কভিড-১৯ সম্পর্কিত ভুয়া বা মিথ্যা তথ্যসংবলিত ৫১ হাজার ৫০৫টি ভিডিও মুছে ফেলার কথাও জানিয়েছে টিকটক।

উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপীই ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা ইস্যুতে সমালোচনার মুখে রয়েছে চীনা বাইটড্যান্স কোম্পানির মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম টিকটক।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *